বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশে উদারপন্থী রাজনীতিকে সরিয়ে উগ্রপন্থী রাজনীতি প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি বলেন, এ প্রবণতা দেশের জন্য ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনতে পারে। শুক্রবার (২৯ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ আশঙ্কার কথা তুলে ধরেন।
ফখরুল বলেন, “নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন না হলে দেশে ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটবে। এর পেছনে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মহলের তৎপরতা রয়েছে।” তিনি মনে করেন, বর্তমান রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, সংস্কারের নামে কয়েকটি রাজনৈতিক দল বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হলেও জনগণ গণতন্ত্রের পক্ষে থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, গত ১৫ বছরে খালেদা জিয়া থেকে শুরু করে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। “এই ত্যাগ-তিতিক্ষাকে ধারণ করতে হবে। আমরা চাই না বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হোক। বরং গণতন্ত্রকে এমন জায়গায় নিতে চাই, যেখানে কয়েকজনের নয়, বরং সার্বিক জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত হবে।”
তিনি নেতাকর্মীদের সতর্ক করে বলেন, সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলার পাশাপাশি দেশের মানুষের আস্থা অর্জন করতে হলে ইতিবাচক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে হবে। মির্জা ফখরুলের বক্তব্যে রাজনৈতিক অঙ্গনে আবারও নির্বাচনী অনিশ্চয়তা ও গণতন্ত্র নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।