Ridge Bangla

দেশজুড়ে বন্যার শঙ্কা, অন্তত ১২ জেলা মারাত্মক প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা

দেশজুড়ে টানা ভারি বর্ষণে বড় ধরনের বন্যার শঙ্কার কথা জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, অন্তত ১২ জেলার নিম্নাঞ্চল বন্যার কবলে ডুবে যেতে পারে।

গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেট ও ময়মনসিংহে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। পূর্বাভাস বলছে, আগামী ৭২ ঘণ্টায় সিলেট ও রংপুর বিভাগসহ ভারতের উজানে মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ অব্যাহত থাকতে পারে। এর প্রভাবে একাধিক নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে।

রংপুর বিভাগের ধরলা নদীর পানি বেড়েছে, যদিও তিস্তা ও দুধকুমারের পানি কিছুটা কমেছে। আগামী দুইদিনে এ নদীগুলোর পানি আরও হ্রাস পেলেও তৃতীয় দিন আবার বাড়তে পারে এবং সতর্কসীমা অতিক্রম করতে পারে। এতে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রামের নিম্নাঞ্চল ডুবে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

এছাড়া রাজশাহী ও রংপুর অঞ্চলের আত্রাই, মহানন্দা, করতোয়া, ঘাঘট ও যমুনেশ্বরী নদীর পানি বাড়ছে। অপরদিকে আপার আত্রাই, টাঙ্গন ও পুনর্ভবার পানি কিছুটা কমেছে। পূর্বাভাস বলছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় আত্রাই নদীর পানি নওগাঁ এলাকায় বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।

এদিকে পদ্মা নদীর পানি বাড়ছে এবং আগামী দুইদিন সতর্কসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, মুন্সিগঞ্জ, পাবনা ও ঢাকা জেলার নদীসংলগ্ন এলাকা সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে। গঙ্গার পানি যদিও আপাতত স্থিতিশীল, তবে পরবর্তী চারদিনে ধীরে ধীরে হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় বেড়েছে এবং আগামী তিনদিন এই প্রবণতা অব্যাহত থেকে সতর্কসীমা ছুঁতে পারে। এরপর দুদিন স্থিতিশীল থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

সিলেট বিভাগের কুশিয়ারা নদীর পানি বেড়েছে, তবে সুরমা নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার নিচে আছে। আগামী দুইদিন স্থিতিশীল থাকার পর তৃতীয় দিনে আবার বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রামের উপকূলীয় নদীগুলোতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি জোয়ার দেখা দিয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা এ পরিস্থিতি চলতে পারে, তবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনে জোয়ার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে পারে।

আরো পড়ুন