ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দুই ভিন্ন কৌশল নিয়ে এগোচ্ছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। উভয় দলই নির্বাচনী প্রস্তুতির পাশাপাশি জনসমর্থন আদায়ের কর্মসূচিতে ব্যস্ত সময় পার করছে।
বিএনপি ইতিমধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া শুরু করেছে। রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। প্রার্থী নির্ধারণে অভ্যন্তরীণ বিরোধ মেটানো এবং শরিকদের জন্য আসন ছাড় দেওয়ার বিষয়েও আলোচনা চলছে। একই সঙ্গে ‘ডোর টু ডোর’ কর্মসূচির মাধ্যমে জনগণের কাছে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে দলটি। নেতারা মনে করছেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন জনগণের ম্যান্ডেট নিশ্চিত করবে।
অন্যদিকে, জামায়াতে ইসলামী তিনশ আসনেই অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। ইতোমধ্যে আসনভিত্তিক ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন লাগানো হয়েছে। একই সঙ্গে পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নে আন্দোলন চালাচ্ছে দলটি। এর মধ্যে রয়েছে জুলাই সনদের ঘোষণা বাস্তবায়ন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন এবং সব দলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা। জামায়াতের মতে, কাঠামোগত সংস্কার ছাড়া নির্বাচন জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে না।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপি যেখানে দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় ফেরার কৌশল নিয়েছে, জামায়াত সেখানে সংস্কারকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। দুই দলের ভিন্ন অবস্থান রাজনৈতিক মেরূকরণকে আরও স্পষ্ট করছে। ফলে আসন্ন নির্বাচন শুধু ক্ষমতার লড়াই নয়, বরং সাবেক মিত্রদের মধ্যে কৌশলগত শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগিতায়ও রূপ নিতে পারে।