Ridge Bangla

দুই জেলায় হরতাল-অবরোধে স্থবির জনজীবন

বাগেরহাটে চারটি আসন বহালের দাবিতে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতাল চলছে জেলাজুড়ে। এতে দূরপাল্লার ১৬টি অভ্যন্তরীণ রুটসহ সব রুটে যানবাহন বন্ধ রয়েছে। হরতালের সমর্থনে বন্ধ রয়েছে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও।

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে শহরের কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড, দশানীর মোড়, খান জাহান আলী মাজার মোড়, মুনিগঞ্জ সেতু ও দরটানা টোলপ্লাজায় দেখা যায়, যাত্রীরা দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও কোনো যানবাহন পাচ্ছেন না। দোকানপাটও বেশিরভাগ বন্ধ থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে মানুষকে।

সড়কে স্বাভাবিক যানবাহন না থাকায় ইজিবাইক, রিকশা ও ভ্যানের ভাড়া দ্বিগুণ দিতে হচ্ছে যাত্রীদের। রিকশাচালক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বলছেন, হরতালে জীবিকা নির্বাহ কঠিন হয়ে পড়েছে। এদিকে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, নির্বাচন অফিস ও জজ আদালত এলাকায় কড়া নিরাপত্তা লক্ষ্য করা গেছে।

অন্যদিকে, মানিকছড়ি-গুইমারা সীমান্তবর্তী তবলাপাড়ায় গ্রামবাসীর ওপর গুলিবর্ষণের প্রতিবাদে খাগড়াছড়ি অঞ্চলে আধাবেলা সড়ক অবরোধ ডেকেছে ইউপিডিএফ সমর্থিত তিন পাহাড়ি সংগঠন—পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও নারী আত্মরক্ষা কমিটি।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের দপ্তর সম্পাদক স্বপন চাকমা স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে জানানো হয়, অবরোধ চলাকালে অ্যাম্বুলেন্স, বিদ্যুৎ, ওষুধ ও সংবাদপত্র পরিবহনে ব্যবহৃত গাড়ি অবরোধমুক্ত থাকবে। উল্লেখ্য, ৭ সেপ্টেম্বর তবলাপাড়ায় গ্রামবাসীর ওপর সন্ত্রাসীদের গুলিবর্ষণের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিভিন্ন সংগঠন সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানায় এবং সময়সীমা বেঁধে দেয়।

এই পোস্টটি পাঠ হয়েছে:

আরো পড়ুন