দীর্ঘ ১৮ বছর পর শ্রীলঙ্কার ঐতিহাসিক সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব (এসএসসি) মাঠে টেস্ট খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আজ বুধবার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের আওতায় স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে মাঠে নামছে টাইগাররা।
কলম্বোর এই মাঠটি বাংলাদেশের জন্য অতীতের অভিজ্ঞতায় সুখকর না হলেও, মোহাম্মদ আশরাফুলের জন্য তা ছিল স্বপ্নের মঞ্চ। এখানেই ২০০১ সালে টেস্ট অভিষেকে সেঞ্চুরি করে ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ানে পরিণত হন তিনি, যা এখনো রেকর্ড হিসেবে অটুট রয়েছে। এমএসসি-তে তিন ম্যাচে তার রান ছিল ২৬০, গড় ছিল ৪৩।
তবে দলগতভাবে বাংলাদেশ এখান থেকে ভালো স্মৃতি নিয়ে ফিরতে পারেনি। এসএসসি-তে ২০০১, ২০০২ এবং ২০০৭ সালে তিনটি টেস্ট খেললেও দুটিতে ইনিংস ব্যবধানে পরাজিত হয় দলটি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ২৭টি টেস্ট খেলে জয় পেয়েছে মাত্র একটিতে, ড্র হয়েছে ৬টি।
গলে প্রথম টেস্টে ভালো পারফরম্যান্স করে বাংলাদেশ। ম্যাচটি ড্র হলেও বেশিরভাগ সময় আধিপত্য বজায় রেখেছিল শান্তর দল। উভয় দলই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে চার পয়েন্ট করে অর্জন করে।
কলম্বোর মাঠে অতীতে স্পিনারদের আধিপত্য ছিল স্পষ্ট। এই মাঠে এখন পর্যন্ত ৪৫টি টেস্টে স্পিনাররাই বড় ভূমিকা রেখেছেন। তাই এবারের ম্যাচেও স্পিনারদের গুরুত্ব অনেক বেশি বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। টাইগারদের জন্য বড় স্বস্তির খবর—ওয়ানডে অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ সুস্থ হয়ে দলে ফিরেছেন। গলে তিনি জ্বরে আক্রান্ত হয়ে খেলতে পারেননি, তবে এবার তাকে ঘিরেই বড় প্রত্যাশা টাইগার শিবিরে।
বাংলাদেশের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স জানিয়েছেন, “আমরা অতীত ভুলে শুধুই জয়ের লক্ষ্য নিয়ে নেমেছি। এই মাঠে আমাদের ইতিহাস ভালো না হলেও এবার সেই ইতিহাস বদলাতে চাই।”
প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং হবে অন্যতম ফ্যাক্টর। যে দল ভালো শুরু করতে পারবে, সেই দলই ম্যাচে এগিয়ে থাকবে—এমনটাই মত বিশ্লেষকদের। বাংলাদেশের জন্য এটি কেবল একটি টেস্ট নয়, পুরনো ইতিহাস ভাঙারও এক সুযোগ।