থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যকার সীমান্ত সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জনের প্রাণহানির পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে কম্বোডিয়া। শনিবার (২৬ জুলাই) জাতিসংঘে নিযুক্ত কম্বোডিয়ার রাষ্ট্রদূত ছিয়া কেও এক বিবৃতিতে বলেন, তার দেশ “নিঃশর্তভাবে” যুদ্ধবিরতির পক্ষে এবং সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়।
অন্যদিকে, থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিস সাংইয়াম্পোংসা জানান, যুদ্ধবিরতি আলোচনার জন্য কম্বোডিয়াকে প্রকৃত আন্তরিকতা দেখাতে হবে। তিনি বলেন, “যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব যথেষ্ট নয়, বরং কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে তা প্রমাণ করতে হবে।”
তিন দিন ধরে চলমান এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩২ জন নিহত ও প্রায় ২ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। উভয় দেশ একে অপরকে সংঘাত শুরু করার জন্য দায়ী করেছে। থাই সেনাবাহিনী জানায়, কম্বোডিয়া দক্ষিণ উপকূলীয় এলাকায় নতুন করে আক্রমণ শুরু করলে, থাই নৌবাহিনী তাদের প্রতিরোধ করে।
সংঘাতের প্রধান কেন্দ্র হয়ে উঠেছে থাইল্যান্ডের সুরিন, উবোন রাতচাথানি ও শ্রীসাকেত প্রদেশ এবং কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী আটটি জেলা, যেখানে ইতোমধ্যেই সামরিক আইন জারি করা হয়েছে।
এ অবস্থায় আসিয়ান চেয়ার মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম শান্তি আলোচনার জন্য উভয় দেশকে টেবিলে বসার আহ্বান জানিয়েছেন। একইসঙ্গে, যুক্তরাষ্ট্রও দ্রুত শত্রুতা বন্ধ ও বেসামরিক সুরক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, এই সীমানা বিরোধের ইতিহাস শত বছরের পুরোনো। ফরাসি ঔপনিবেশিক শাসনামলে সীমানা নির্ধারণ নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। গত মে মাসে এক সংঘর্ষে একজন কম্বোডিয়ান সৈন্য নিহত হওয়ার পর উত্তেজনা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে। এর ফলে দুই দেশের সম্পর্ক নেমে এসেছে সর্বনিম্ন পর্যায়ে।