Ridge Bangla

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে অপসারণ করল আদালত

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংটার্ন শিনাওয়াত্রাকে অপসারণ করেছে সংবিধানিক আদালত। ফলে দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। শুক্রবার (২৯ আগস্ট) আদালতের নয় বিচারপতির মধ্যে ছয়জন তার বিপক্ষে রায় দেন।

নৈতিকতা লঙ্ঘনের অভিযোগে শিনাওয়াত্রাকে পদচ্যুত করা হয়েছে। কারণ জুন মাসে ফাঁস হওয়া একটি ফোন কলে তাকে কম্বোডিয়ার সাবেক নেতা হুন সেনকে “চাচা” বলে সম্বোধন করতে এবং থাই সেনাবাহিনীকে সমালোচনা করতে শোনা যায়। এসময় থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনা বাড়ছিল। হুন সেন নিজেই ওই ফোন কল ফাঁস করেছিলেন। এর ফলে পেতংটার্নের সুনাম ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সমালোচকেরা অভিযোগ, তিনি দেশের সেনাবাহিনীকে দুর্বল করেছেন।

২০০৮ সালের পর থেকে সংবিধানিক আদালতের মাধ্যমে পদচ্যুত হওয়া তিনি পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী। ৩৯ বছর বয়সী পেতংটার্ন ২০২১ সালে ফিউ থাই দলে যোগ দেন এবং স্রেত্থা থাভিসিনকে আদালত অপসারণ করার পর ক্ষমতায় আসেন। স্রেত্থা একজন সাবেক দণ্ডিত মন্ত্রীর নিয়োগ দেওয়ায় পদ হারান।

শক্তিশালী শিনাওয়াত্রা পরিবার একাধিকবার থাইল্যান্ডে সরকার গঠন করেছে। পেতংটার্নের অপসারণ তাদের রাজনৈতিক পরিবারের জন্য বড় বিপর্যয়। তিনি তৃতীয় শিনাওয়াত্রা যিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ হারালেন। এর আগে তার বাবা ঠাকসিন ২০০৬ সালে সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন এবং তার খালা ইয়িংলাক ২০১৪ সালে সংবিধানিক আদালতের রায়ে পদচ্যুত হন।

এই পোস্টটি পাঠ হয়েছে:

আরো পড়ুন