ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত দেশটির প্রধানমন্ত্রী পায়তংতার্ন শিনাওয়াত্রাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে। সাম্প্রতিক এক ফাঁস হওয়া ফোনালাপে কেম্বোডিয়ার সাবেক নেতা হুন সেনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক আলোচনা উঠে এলে বিরোধী দলগুলো প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে চাপ বাড়াতে শুরু করে।
ফাঁস হওয়া অডিওতে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক বিষয়ে স্পর্শকাতর মন্তব্য রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। সাংবিধানিক আদালতের মতে, চলমান তদন্তের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে পায়তংতার্নকে দায়িত্ব থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা আইন ও সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু হয়েছে।
পায়তংতার্ন শিনাওয়াত্রা থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন শিনাওয়াত্রার কন্যা এবং ক্ষমতাসীন সরকারের নেতৃত্বে রয়েছেন। তার বরখাস্তকে কেন্দ্র করে দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বেড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বর্তমানে সরকার একজন অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে পরিচালিত হবে। আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত পায়তংতার্ন তার দায়িত্বে ফিরে যেতে পারবেন না।
এই সিদ্ধান্তকে বিরোধী দল স্বাগত জানালেও শাসক দল একে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হিসেবে অভিহিত করেছে।