তেহরান ও তেলআবিবের মধ্যকার চলমান সামরিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ইরানি সরকারি সূত্র ও গণমাধ্যমগুলো দাবি করেছে, দক্ষিণ ইসরায়েলের একটি হাসপাতালে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
হিব্রু ভাষার গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ইরান থেকে ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র বিয়ারশেভার সোরোকা মেডিকেল সেন্টারে আঘাত হেনেছে। তবে ইরান এই দাবি নাকচ করে দিয়েছে। দেশটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ইসরায়েলের ওই হাসপাতাল ইরানের পরিকল্পিত হামলার লক্ষ্য ছিল না।
আল জাজিরার তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি সেনারা গাজা অভিযান চলাকালে আহত হলে সোরোকা হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। তবে ইরান স্পষ্ট করে জানিয়েছে, হাসপাতালের আশপাশে থাকা সামরিক স্থাপনায় হামলা হয়েছে এবং সেখানকার কম্পনের প্রভাবে হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, কিন্তু সরাসরি আঘাত হয়নি।
সোরোকা হাসপাতালটি গাভ-ইয়াম টেকনোলজি পার্কে অবস্থিত, যেখানে আইডিএফ-এর প্রধান গোয়েন্দা সদর দফতর ও সাইবার কমান্ড সিস্টেম রয়েছে। ইরানের দাবি, মূলত এই সামরিক স্থাপনাগুলোকেই টার্গেট করা হয়েছে এবং ইসরায়েল তা আড়াল করতে “মানসিক যুদ্ধ” বা “সাইকোলজিক্যাল ওয়ারফেয়ার”-এর অংশ হিসেবে হাসপাতালের নাম ব্যবহার করছে।
অন্যদিকে, ইসরায়েল সম্প্রতি তেহরান ও কেরমানশাহে অবস্থিত দুটি বেসামরিক হাসপাতালে বিমান হামলা চালালেও আন্তর্জাতিক মহলে তা নিয়ে তেমন নিন্দা দেখা যায়নি। ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (IRGC) বৃহস্পতিবারের হামলাকে “নির্ভুল সামরিক আঘাত” হিসেবে বর্ণনা করেছে।