খুলনা নগরীর শিববাড়ি মোড়ে শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) তিন দফা দাবিতে প্রকৌশলী শিক্ষার্থীদের মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশে ছাত্র, শিক্ষক এবং ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশের (আইইবি) প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
‘প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলন’-এর ব্যানারে বিকেল ৪টায় আয়োজিত এ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিসমূহ তুলে ধরেন। কুয়েটের প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাকিবুল হক লিপু বলেন, “ডিপ্লোমাধারীরা মূলত এইচএসসি সমমানের শিক্ষার্থী। তারা আগে টেকনিশিয়ান হিসেবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করত। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ১০ম গ্রেডে ১০০ শতাংশ এবং ৯ম গ্রেডে ৩৩ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত কোটা নিয়ে প্রকৌশল খাত দখল করে রেখেছে। এদের বিসিএসে বসার জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা (স্নাতক) নেই। তারা শুধু পদোন্নতির মাধ্যমে ক্যাডার হচ্ছে।”
কুয়েট শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ফারুক হোসেন বলেন, “দেশে যদি আসলেই কোটা প্রথা বিলুপ্ত হতো, তবে মেধাবী শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ছেড়ে মাঠে নামতে হতো না। একটি গোষ্ঠী ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে প্রকৌশল পেশাকে কলুষিত করেছে এবং প্রকৃত প্রকৌশলীদের সঙ্গে বৈষম্য সৃষ্টি করছে।”
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) শিক্ষার্থীর উদ্যোগে আয়োজিত এ সমাবেশে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা মেডিকেল, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ খুলনার সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাহাতুল ইসলাম বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্যেও আমাদের তিন দফা দাবি এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। তাই খুলনায় এই বিভাগীয় সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।”
