Ridge Bangla

তালায় বৃষ্টি ও উজানের পানিতে ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি

টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে শিরাশুনি গ্রামসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামে প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানিবাহিত রোগের ঝুঁকি বাড়ছে, বিশুদ্ধ পানির সংকটে ভুগছে স্থানীয়রা। কর্মহীন হয়ে পড়েছে শত শত পরিবার।

স্থানীয় বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম মনি বলেন, কয়েক দিনের ভারি বর্ষণ ও কেশবপুরের আলাদিপুর এলাকা থেকে নেমে আসা পানি এই দুর্ভোগের মূল কারণ। পানিতে তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, কৃষিজমি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ফলে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

শিরাশুনির বাসিন্দা মজিবার রহমান, ময়না বেগম ও গুলশানা আরা খাতুন জানান, তিন বছর ধরে প্রতি বর্ষায় একই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তারা বলেন, “এখন বাড়িতে কোমর পানি। রান্না করা, চলাফেরা, এমনকি বাচ্চাদের পড়ালেখাও বন্ধ হয়ে গেছে। কেউ মারা গেলে দাফনের ব্যবস্থাও কঠিন হবে।”

জলাবদ্ধতার কারণ হিসেবে স্থানীয়রা কেশবপুরের নরনিয়া খাল ভরাট হয়ে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং ভদ্রা নদীর নাব্যতা হ্রাসকে দায়ী করছেন।

তেঁতুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, “যশোরের কেশবপুর থেকে পানি সরানো না হলে জলাবদ্ধতা আরও বাড়বে। স্থায়ী সমাধানের জন্য ভদ্রা নদী খনন জরুরি।”

তালা উপজেলা পানি কমিটির সাধারণ সম্পাদক মীর জিল্লুর রহমান জানান, “পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা হলেও খাল খনন বা পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়নের উদ্যোগ বাস্তবায়িত হয়নি।”

তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপা রাণী সরকার বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে শিরাশুনি পরিদর্শন করেছি। দ্রুত পানি অপসারণের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।”

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, “স্থায়ী সমাধানের জন্য সব পক্ষের সমন্বয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে।”

আরো পড়ুন