যুক্তরাষ্ট্রের প্রাচীন ও প্রভাবশালী উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং ট্রাম্প প্রশাসন বর্তমানে একটি গুরুত্বপূর্ণ আইনি লড়াইয়ে জড়িয়েছে। সোমবার (২১ জুলাই) ফেডারেল আদালতে উভয়পক্ষ নিজেদের বক্তব্য উপস্থাপন করে। এই মামলার রায় মার্কিন উচ্চশিক্ষা খাতের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাখাতে ফেডারেল সরকারের দেওয়া বিপুল তহবিল কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত। ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে বিশ্ববিদ্যালয়টি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও অবৈধ বলে দাবি করেছে।
সোমবার এক ফেডারেল বিচারপতির উপস্থিতিতে মামলার শুনানি শুরু হয়। এতে প্রশ্ন উঠে আসে—রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কতটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর প্রয়োগ করা যায় এবং এর ফলে একাডেমিক স্বাধীনতা কতখানি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, হার্ভার্ড জয়ী হলে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এটি একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হবে, যেখানে গবেষণায় স্বাধীনতা ও তহবিলের স্থায়িত্ব নিশ্চিত হবে। অন্যদিকে, ট্রাম্প প্রশাসন জয়ী হলে, ভবিষ্যতে সরকারি নীতির উপর নির্ভরশীলতা বাড়বে এবং গবেষণায় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের আশঙ্কা সৃষ্টি হবে।
এই মামলার ফলাফল যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর গবেষণা নীতি, বাজেট বরাদ্দ ও প্রশাসনিক স্বাধীনতার উপর সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।