মিশরে একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে, যেখানে ১৮ বছর বয়সী একজন যুবক তরুণীর ছদ্মবেশে ভিডিও বানিয়ে টিকটকে প্রচার করছিলেন। এই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) প্রকাশিত সংবাদে জানা গেছে, ‘ইয়াসমিন’ নামে পরিচিত ওই টিকটকার মূলত আবদুল রহমান নামের এক ছাত্র। ভিউ ও অর্থ উপার্জন বাড়ানোর আশায় তিনি বিভিন্ন ভিডিওতে তরুণীর ছদ্মবেশ ধারণ করতেন এবং দর্শকদের বিভ্রান্ত করতেন। এছাড়া বিজ্ঞাপন ও অনলাইন দর্শক আকর্ষণও তার উদ্দেশ্যের অংশ ছিল।
মিশরীয় কর্তৃপক্ষের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী ‘ইয়াসমিন’ অ্যাকাউন্ট থেকে অনুপযুক্ত ভিডিও আপলোডের অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে। জিজ্ঞাসাবাদে আবদুল রহমান স্বীকার করেন, তিনি ফলোয়ার ও ভিডিও ভিউ বাড়ানোর পাশাপাশি অর্থ উপার্জনের জন্য এ কৌশল অবলম্বন করেছেন। তার এই কর্মকাণ্ড জনসাধারণের নৈতিকতা লঙ্ঘন ও ছদ্মবেশ ধারণের অভিযোগে সাজানো হয়েছে। তদন্তের অংশ হিসেবে তার ফোন ও সমস্ত অনলাইন প্ল্যাটফর্মের অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে।
চারদিন হেফাজতের পর পাঁচ হাজার মিশরীয় পাউন্ডের বিনিময়ে তাকে জামিনে ছাড়া হয়। প্রতিবেশীরা জানান, তাদের কাছে আবদুল রহমান একজন সাধারণ যুবক ছিলেন এবং তারা কখনও তাকে সন্দেহজনক কাজে যুক্ত দেখেননি।
ঘটনাটি অনলাইন কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের অস্বাভাবিক কৌশল ব্যবহার ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিউ ও ফলোয়ার বৃদ্ধির অনৈতিক প্রচেষ্টার দিকে আলোকপাত করেছে। তবে এ ঘটনায় নিরাপদ ও দায়িত্বশীল কনটেন্ট তৈরির প্রয়োজনীয়তারও পুনঃপ্রমাণ মিলেছে।
