তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের পদ্ধতি নিয়ে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় পর্যায়ের ১১তম দিনের আলোচনায় এ কথা বলেন তিনি।
অধ্যাপক রীয়াজ জানান, “সংসদের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগের প্রস্তাব এসেছে। সব দলই তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার পক্ষে, তবে সবাই চায় এটি যেন ত্রুটিমুক্ত হয়।”
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে মতামত সংগ্রহ করা হয়েছে, যা বিশ্লেষণ করে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব তৈরি করা হবে। “প্রত্যেকটি দল চায়, তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা যেন বিতর্কমুক্ত থাকে এবং ভবিষ্যতে আর প্রশ্নবিদ্ধ না হয়।”
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণে অনেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারে বিচার বিভাগ বা রাষ্ট্রপতিকে যুক্ত করতে চান না। পঞ্চদশ সংশোধনী মামলার রায়ে তত্ত্বাবধায়ক ফিরে এসেছে। বিএনপি চায়, বর্তমান ব্যবস্থার পাশাপাশি বিকল্প হিসেবে তত্ত্বাবধায়ক থাকুক।”
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, “আমরা চাই সাবেক প্রধান বিচারপতিদের দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন হোক, যেমনটি অতীতে হয়েছিল। তবে নতুন কোনো যৌক্তিক প্রস্তাব এলে সেটিও আলোচনার জন্য উন্মুক্ত।”
এনসিপি জানিয়েছে, তারা সংসদের উচ্চকক্ষের ভোটের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান নির্বাচন চায়।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, “কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে এমন একটি তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতি নিয়ে আসা, যা গ্রহণযোগ্য, কার্যকর এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া মসৃণ করতে সক্ষম হবে।”