ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার মাওলানাকান্দি গ্রামে চাঁদার দাবিতে স্বামীকে বেঁধে রেখে গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। সোমবার (১ জুলাই) রাতে সংঘটিত এই নৃশংস ঘটনায় ছাত্রদল ও শ্রমিক দলের তিন নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।
ঘটনার প্রতিবাদে পরদিন উপজেলা বিএনপি মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ আয়োজন করলে বর্তমান ও সাবেক নেতাদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।
তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, আসামি মানিককে ইলিশা লঞ্চঘাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি অপরাধে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। অন্য অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চলছে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে বলেন, “ভোলার এ ধর্ষণের ঘটনা কাপুরুষোচিত ও ন্যাক্কারজনক। এ ধরনের হিংস্রতা পুরো জাতিকে স্তম্ভিত করেছে। নারী নিরাপত্তা আজ চরম হুমকিতে।” তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী শাসনের অবসান হলেও দেশে নৈরাজ্য ও সন্ত্রাস থামেনি। ধর্ষণে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।”
বুধবার বিকেলে জামায়াতে ইসলামীর তজুমদ্দিন উপজেলা শাখাও প্রতিবাদ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছে।
উল্লেখ্য, সোমবার গভীর রাতে একদল দুর্বৃত্ত বাদীর দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরে ঢুকে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও বিচার দাবির ঝড় উঠেছে।