ঢাকার জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধার ও নগর পরিবেশ উন্নয়নে রাজধানীর দিয়াবাড়ীতে ১৬০০ বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৫ লাখ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এ উদ্যোগ নেওয়া হয়।
গ্রিন সেভার্সের আয়োজনে এবং ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (ইডকল), বন অধিদপ্তর ও ডিএনসিসির সহযোগিতায় এই কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ এবং সভাপতিত্ব করেন গ্রিন সেভার্সের প্রধান নির্বাহী আহসান রনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে বিভিন্ন খাল সংযুক্ত করে পানি নিষ্কাশনের স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বায়ুদূষণ মোকাবিলা ও পরিবেশ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ হাতে নেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, এসটিএসগুলো আন্ডারগ্রাউন্ডে নেওয়ার পরিকল্পনা চলছে এবং হিজড়া জনগোষ্ঠীকে ব্যবসায়িক সুযোগ দিয়ে ইনক্লুসিভ শহর গড়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ব্যক্তিগতভাবে যারা বৃক্ষরোপণ করেন তাদের সহায়তায় ‘গাছের ডাক্তার’ নামে একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ঢাকায় একটি ‘ট্রি মিউজিয়াম’ গড়ে তোলা হবে এবং নগরীর আরবান বায়োডাইভারসিটি হটস্পটগুলো সংরক্ষণ করা হবে।
স্বাগত বক্তব্যে বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মাহমুদা রোকসানা সুলতানা বলেন, আমতলী থেকে গুলশান ১ পর্যন্ত বৃক্ষরোপণ ও মাটি সংরক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। একইসঙ্গে বাউনিয়া খালের চারপাশে বৃক্ষরোপণ অব্যাহত রয়েছে।
অনুষ্ঠানে বন অধিদপ্তরের বন সংরক্ষক হুসাইন মোহাম্মদ নিশাদ, উপপ্রধান বন সংরক্ষক মোহাম্মদ মঈনুদ্দিন খান, ইডকলের চিফ রিস্ক অফিসার মোহাম্মদ জাভেদ ইকবাল এবং এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট রায়হান উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। রোপণকৃত বৃক্ষের মধ্যে রয়েছে জারুল, সোনালু, করবী, চন্দ্রপ্রভা ও টগর।