আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া শুরু করেছে বিএনপি। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে দুই শতাধিক আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীকে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে, আর প্রায় ৫০টি আসনে যাচাই-বাছাই চলছে। সমমনা দল ও জোটকে আসন ছাড়ার পর বাকি আসনগুলো নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ঢাকা মহানগরের ১৫টি আসনের মধ্যে কয়েকটিতে প্রার্থীর নাম প্রায় নিশ্চিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জ্যেষ্ঠ নেতারা। এর মধ্যে ঢাকা-৪ এ দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবীন, ঢাকা-৮ এ স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ঢাকা-১৩ এ সমমনা দল এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, ঢাকা-১৬ এ উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক এবং ঢাকা-১৭ এ সমমনা দল বিজেপি চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ সবুজ সংকেত পেয়েছেন।
ববি হাজ্জাজ নিশ্চিত করেছেন, শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁকে ঢাকা-১৩ (মোহাম্মদপুর) আসনের জন্য মনোনীত করেছে এবং তিনি ইতোমধ্যে এলাকায় সাংগঠনিক কাজ শুরু করেছেন। অন্যদিকে আন্দালিব রহমান পার্থ সরাসরি মনোনয়ন নিয়ে মন্তব্য না করলেও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গুলশান এলাকায় তাঁর পক্ষে সভা-সমাবেশ ও প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
বিএনপির একাধিক জ্যেষ্ঠ নেতা জানিয়েছেন, প্রার্থী নির্ধারণে মাঠ জরিপ, তৃণমূলের মতামত ও জনপ্রিয়তাকে প্রধান বিবেচনায় রাখা হচ্ছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্কাইপের মাধ্যমে প্রার্থীদের নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং বিশেষ করে কোন্দলপূর্ণ এলাকায় ঐক্য বজায় রাখার ওপর জোর দিচ্ছেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভাঙলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ছাড়া নেতারা জানান, জামায়াতে ইসলামী ইতোমধ্যে সারাদেশে প্রার্থী চূড়ান্ত করে গণসংযোগ শুরু করেছে। প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে না পড়তে বিএনপিও সম্ভাব্য প্রার্থীদের সবুজ সংকেত দিয়ে মাঠে নামাচ্ছে, যাতে তারা আগেভাগেই নির্বাচনী প্রস্তুতি নিতে পারে।
স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “আমরা মাঠ জরিপ ও তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে কাজ করছি। যারা এগিয়ে থাকবেন, তারাই চূড়ান্ত মনোনয়ন পাবেন।”