নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় বড় ধরনের ডাকাতির পরিকল্পনা ভণ্ডুল করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাত ৩টার দিকে উপজেলার আলা মুন্সির মোড় এলাকা থেকে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের মধ্যে একজন বর্তমান পুলিশ সদস্য, একজন চাকরিচ্যুত সাবেক সেনা সদস্য এবং একজন সাবেক নৌবাহিনী সদস্য রয়েছেন।
রোববার (৩ আগস্ট) সকালে লোহাগড়া থানার ওসি মো. শরিফুল ইসলাম জানান, টহলকালে সন্দেহজনকভাবে অবস্থান নেওয়া কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদে অসংলগ্ন উত্তর পেলে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ডাকাতির সরঞ্জাম—রড, হাতুড়ি, দা, হাতকড়া, পেপার কাটার, তিনটি মোটরসাইকেলের খোলা নম্বরপ্লেট এবং সাতটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—সাতক্ষীরা সদর থানার কটিয়া পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল ইজাজ আহম্মেদ (৩৩), নড়াইলের অমিত কাজী (২৮, সাবেক নৌবাহিনী সদস্য), যশোরের হাফিজুর রহমান (৩৩, সাবেক সেনা সদস্য), তনু মোল্যা (৩৩), শামীম রেজা (২৩), শাওন রহমান (২৮), গোপালগঞ্জের আল আমিন (৩২) ও মোখলেস শেখ (৪০), এবং ঝিনাইদহের মাসুদ রানা (৩০)।
পুলিশ জানায়, অমিত, শামীম, আল আমিন ও মোখলেসের বিরুদ্ধে একাধিক ডাকাতি, অস্ত্র ও মাদক মামলার অভিযোগ রয়েছে। মোখলেস ও আল আমিনের বিরুদ্ধে চারটি করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে। ওসি শরিফুল ইসলাম বলেন, “গ্রেপ্তাররা আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য। যশোর, ঝিনাইদহ, গোপালগঞ্জ ও নড়াইলের কয়েকজন মিলে বড় ধরনের ডাকাতির পরিকল্পনা করছিল।”
শনিবার বিকেলে গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্তি নেমে এসেছে।