Ridge Bangla

ঠাকুরগাঁওয়ে ঘর থেকে মা-মেয়ের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে থাকা একটি ঘর থেকে মা ও মেয়ের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের মাদারগঞ্জ গ্রাম থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।

মৃতরা হলেন—৪০ বছর বয়সী সুমিলা রানী ও তার ২০ বছর বয়সী মেয়ে শাপলা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শাপলা একজন প্রতিবন্ধী ছিলেন। স্বামী জগদীশ রায় ওই বাড়িতে থাকতেন না। সুমিলা রানী তার মেয়েকে নিয়ে গ্রামের কিছুটা নির্জন এলাকার ওই বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছিলেন।

স্থানীয়দের জানামতে, গত কয়েক দিন ধরে মা-মেয়ের কোনো সাড়া-শব্দ পাচ্ছিলেন না তারা। পরে সোমবার বিকেলে এক এনজিও কর্মী কিস্তির টাকা নিতে ওই বাড়িতে গিয়ে পচা দুর্গন্ধ পান এবং প্রতিবেশীদের বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে ভূল্লী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

পুলিশ জানায়, ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ (লক করা) ছিল। দরজা ভাঙার চেষ্টা করলে দেখা যায় পুরো ঘরটি বিদ্যুতায়িত হয়ে আছে। এমনকি স্থানীয় বাসিন্দারাও দরজা খুলতে গিয়ে বিদ্যুতের শক খান। পরবর্তীতে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে পুলিশ দরজা ভেঙে মা ও মেয়ের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে।

ভূল্লী থানার এসআই দিন মোহাম্মদ জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েই কয়েক দিন আগে তাদের মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হতে দুজনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁওয়ের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এই মর্মান্তিক ঘটনায় আপাতত থানায় অপমৃত্যুর মামলা (ইউডি) করা হয়েছে বলে পুলিশ কর্মকর্তা জানান। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে আসার পর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

এই পোস্টটি পাঠ হয়েছে: ১০

আরো পড়ুন