রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ফোনালাপ নতুন করে আলোচনার সৃষ্টি করেছে। ১৬ অক্টোবর এক ফোনালাপে দুই নেতা ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে সরাসরি বৈঠকে বসার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন। এই খবর ইউক্রেনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে।
কিয়েভে গভীর উদ্বেগের সঙ্গে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। কারণ গত ২৪ ঘণ্টায় রাশিয়া ইউক্রেনজুড়ে দশটির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ও তিন শতাধিক ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এর বেশিরভাগের লক্ষ্যবস্তু ছিল বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ সংযোগ। ফলে দেশজুড়ে মারাত্মক বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। ইউক্রেনের দাবি, যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়ে রাশিয়া এখন বেসামরিক অবকাঠামো ধ্বংসে মনোযোগ দিয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কিয়েভ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সের্হি কুলিচ বলেন, “এই মুহূর্তে ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের সিদ্ধান্ত ইউক্রেনের জন্য কূটনৈতিকভাবে বিপজ্জনক বার্তা বহন করছে।” তিনি মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নরম হলে ইউক্রেনের সামরিক সহায়তা কমে যেতে পারে। অপরদিকে, ওয়াশিংটনে সফরের আগে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আশা করেছিলেন, ট্রাম্প প্রশাসন ইউক্রেনকে দীর্ঘ-পাল্লার টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র কেনার অনুমতি দেবে। কিন্তু এই বৈঠকের খবর সেই প্রত্যাশাকে অনিশ্চিত করে তুলেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, “এটি যুদ্ধের গতি নয়, বরং কূটনৈতিক ভারসাম্য বদলে দিতে পারে।”