মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশজুড়ে অভিবাসীদের আটক ও বিতাড়নের উদ্যোগ সম্প্রসারণের নির্দেশ দিয়েছেন। ‘ট্রুথ সোশ্যাল’–এ দেওয়া এক বার্তায় তিনি ফেডারেল সংস্থাগুলোকে “মার্কিন ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণবিতাড়ন অভিযান” পরিচালনার আহ্বান জানান। বার্তায় তিনি লস অ্যাঞ্জেলেস, শিকাগো এবং নিউইয়র্ক শহরের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।
ট্রাম্পের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। ৬ জুন থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ ১৪ জুন যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। “নো কিংস” ব্যানারে সংগঠিত এই আন্দোলনের অংশ হিসেবে লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে নিউইয়র্ক পর্যন্ত বিক্ষোভ হয়। একই দিনে ওয়াশিংটনে মার্কিন সেনাবাহিনীর ২৫০ বছর পূর্তিতে সামরিক কুচকাওয়াজ এবং ট্রাম্পের ৭৯তম জন্মদিন উদযাপন হয়। বিক্ষোভ চলাকালে সল্ট লেক সিটিতে গুলিতে একজন নিহত হন।
ট্রাম্প তার বক্তব্যে বলেন, “যারা দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি ব্যাহত করে, তাদের প্রবেশ ঠেকানো হবে।” তিনি অভিবাসন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন, যেসব শহর ফেডারেল অভিবাসন কর্মকর্তাদের সহযোগিতা করে না, সেসব শহরের ওপর বিশেষ নজর দিতে।
এদিকে, এসব শহরের স্থানীয় প্রশাসন বলছে, তারা অভিবাসীদের আইনি অধিকার রক্ষার পক্ষেই অবস্থান নেবে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই পদক্ষেপ ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারের প্রতিশ্রুতিরই অংশ হলেও এটি যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে আরও বিভাজন ও উত্তেজনা তৈরি করতে পারে।