এএফসি বাছাই কাপে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে আজকের ম্যাচ ঘিরে ছিল তুঙ্গ উত্তেজনা। দীর্ঘদিন পর জাতীয় স্টেডিয়ামে ফিরেছে আন্তর্জাতিক ফুটবল, আর তাতেই যেন এক নবজাগরণ দেখলো বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীরা। স্টেডিয়ামে ছিল উপচে পড়া দর্শক, মুখর গ্যালারি, আর মাঠে ছিল এক টান টান লড়াই।
এই ম্যাচ দিয়েই জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছে কানাডা প্রবাসী প্রতিভাবান মিডফিল্ডার সামিত সোমের। একই সঙ্গে দলে নতুন রূপ দিয়েছেন হামজা চৌধুরী ও ফাহামেদুল ইসলামের মতো ফুটবলাররা। ম্যাচের আগে যেমন আলোচনায় ছিলেন বাংলাদেশের নতুন রণকৌশল, তেমনি সিঙ্গাপুরের শক্তিশালী ফরোয়ার্ড ইখসান ফান্দিও ছিল শঙ্কার কারণ।
তবে সব আশা-আকাঙ্ক্ষার মাঝেই শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের ব্যবধানে হেরে গেছে হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা। ম্যাচের প্রথমার্ধেই ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয়ার্ধে সামিত-হামজারা গতি আনে দলে, একের পর এক আক্রমণে সিঙ্গাপুরের রক্ষণভাগে চাপ সৃষ্টি করে। এক গোল পরিশোধ করলেও ম্যাচে ফিরতে পারেনি বাংলাদেশ।
র্যাংকিংয়ে ২২ ধাপ এগিয়ে থাকা সিঙ্গাপুরকে হারানোর জন্য শেষ সময় পর্যন্ত প্রাণপণ চেষ্টা করেছে লাল-সবুজের দল। মাঠে যে লড়াকু মনোভাব তারা দেখিয়েছে, তাতে হারলেও জয়ী হয়েছে সমর্থকদের হৃদয়ে। গ্যালারিতে ‘বাংলাদেশ, বাংলাদেশ’ ধ্বনিতে কেঁপে উঠেছে পুরো স্টেডিয়াম।
এই পরাজয়ে এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের পথ কঠিন হয়ে গেলেও ম্যাচটি বাংলাদেশের ফুটবলে নতুন আশা জাগিয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। মাঠে উপস্থিত দর্শকের সংখ্যাও ছিল দীর্ঘদিনের রেকর্ড ভাঙার মতো। তবে যাদের মুখে হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়ার স্বপ্ন ছিল, সেই সমর্থকদের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।