Ridge Bangla

জাপানকে শুল্ক আরোপের হুমকি ডোনাল্ড ট্রাম্পের

জাপান যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদিত চাল কিনতে ‘অনিচ্ছুক’—এমন অভিযোগ তুলে জাপানের রপ্তানি করা পণ্যের ওপর উচ্চহারে শুল্ক বসানোর হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া একটি পোস্টে তিনি লেখেন, “আমি জাপানকে অনেক শ্রদ্ধা করি কিন্তু তারা আমাদের চাল নেয় না, অথচ তাদের দেশে মারাত্মক চাল সংকট চলছে।” ট্রাম্প আরও বলেন, “আমরা তাদের কেবল একটি চিঠি পাঠাবো। আমরা চাই তারা আগামী বহু বছর ধরে আমাদের বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে থাকুক।”

চলতি মাসের শুরুতে ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি অন্যান্য দেশগুলোকে একতরফাভাবে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক হার জানিয়ে চিঠি পাঠাবেন, যাতে তারা বোঝে চুক্তির অবস্থান কী। মার্কিন চাল শিল্পের একটি বাণিজ্য সংস্থা তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, জাপান মার্কিন মিলড রাইসের (প্রক্রিয়াজাত চাল) ক্ষেত্রে দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি বাজার।

চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ট্রাম্প বেশিরভাগ বাণিজ্য অংশীদার দেশের জন্য ১০ শতাংশ হারে ব্যাপক শুল্ক আরোপ করেছিলেন। তবে কিছু দেশের ক্ষেত্রে তিনি অস্থায়ীভাবে তা স্থগিত করেন যাতে আলোচনার সুযোগ থাকে। এই শুল্ক বিরতির মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৯ জুলাই, যার ফলে যদি চুক্তি না হয়, তবে ওই তারিখের পর থেকে নতুন শুল্ক কার্যকর হবে।

মার্কিন জনশুমারি ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে জাপান যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৯৮ মিলিয়ন ডলারের চাল আমদানি করেছে। চলতি বছর জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত কিনেছে আরও ১১৪ মিলিয়ন ডলারের চাল। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত জাপানি দূতাবাস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করলেও, ট্রাম্পের বক্তব্যের পেছনে ২০২১ সালের একটি সরকারি প্রতিবেদন থাকার ইঙ্গিত দিচ্ছে সিএনএন। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, জাপানের আমদানির প্রক্রিয়া ও চাল বিতরণব্যবস্থা ‘জটিল ও অস্বচ্ছ’, যা মার্কিন রপ্তানিকারকদের জন্য প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে।

বর্তমানে শুল্ক বিরতির আওতায় জাপানি পণ্যে ১০ শতাংশ শুল্ক ধার্য রয়েছে, যা আগের হার ২৪ শতাংশের চেয়ে কম। তবে নতুন শুল্ক নীতিতে এই হার বাড়ানো হতে পারে।

এদিকে সোমবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মার্কিন জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের পরিচালক কেভিন হ্যাসেট বলেন, জাপানের সঙ্গে এখনো আলোচনা চলছে। হ্যাসেট বলেন, “সবকিছু শেষ হয়ে যায়নি। আমি জানি উনি (ট্রাম্প) কী পোস্ট করেছেন, তবে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আলোচনা চলবে। এমনকি একটি কাঠামো চূড়ান্ত হলেও, এরপরও অনেক কিছু চূড়ান্ত করতে হবে।”

এই পোস্টটি পাঠ হয়েছে: ৪১

আরো পড়ুন