প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন স্পষ্ট করেছেন, সংবিধান ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) পরিবর্তন ছাড়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক (পিআর) ভোট পদ্ধতি চালু করা সম্ভব নয়। নির্বাচন কমিশনের হাতে আইন সংশোধনের ক্ষমতা নেই, তাই প্রচলিত নিয়মেই আসন্ন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। সিইসি বলেন, “পিআর পদ্ধতি সংবিধান বা আরপিওতে নেই। ভোট পদ্ধতি পরিবর্তনের জন্য আগে আইন ও সংবিধান দুটোই সংশোধন করতে হবে। সেটা আমাদের এখতিয়ারের বাইরে।”
নির্বাচন কোন পদ্ধতিতে হবে—এই প্রশ্নে তিনি জানান, “আরপিও পরিবর্তন করলে আইন বদলাতে হবে। আমরা আইন বদলাতে পারি না। পিআর পদ্ধতিতে ভোট হলে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন সম্ভব কি না, সেটিও আইনি সংশোধনের ওপর নির্ভরশীল।” তিনি আরও বলেন, “সংবিধান পরিবর্তনের প্রশ্ন এলে রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি হবে, তখন হয়তো বলা হবে আমি পিআরের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছি। অথচ বিষয়টি পুরোপুরি আইন প্রণেতাদের হাতে।”
সিইসি রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “দলগুলো নিজেরাই ফয়সালায় আসুক। আমাদের পক্ষে কোনটা সম্ভব বা অসম্ভব, তা তারাই বুঝবেন।”
শাপলা প্রতীক ইস্যুতে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এনসিপি নেতা সারজিস আলমের বক্তব্যকে হুমকি মনে করা হয়নি। “রাজনীতিবিদরা নানা মন্তব্য করেন, আমরা শুনি, তবে আমাদের দায়িত্ব পালন করব।” নির্বাচন কমিশনের আরেক কর্মকর্তা জানান, শাপলা প্রতীক প্রথমে দাবি করেছিল নাগরিক ঐক্য, পরে এনসিপিও একই প্রতীক চায়। তাই কাউকেই প্রতীকটি বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।