Ridge Bangla

জাতিসংঘে সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট পদে লড়বে বাংলাদেশ, প্রতিদ্বন্দ্বী ফিলিস্তিন ও সাইপ্রাস

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮১তম অধিবেশনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে বাংলাদেশ। এ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রয়েছে ফিলিস্তিন; এছাড়া সাইপ্রাসও এ আসনের জন্য প্রার্থী হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, চলতি মাসের শেষ দিকে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ৮০তম অধিবেশনের সময় বাংলাদেশের পক্ষে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হবে। প্রচারণায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। দেশের ভেতরে ও বাইরে এ কার্যক্রম চলবে আগামী ২০২৬ সালের মে মাস পর্যন্ত। এ আসনের জন্য বাংলাদেশের প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

কূটনৈতিক মহল মনে করছে, ফিলিস্তিনের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবার অদ্ভুত এক চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। জন্মলগ্ন থেকেই বাংলাদেশ ফিলিস্তিনকে সমর্থন দিয়ে এসেছে এবং জাতিসংঘে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভোটে তাদের পাশে থেকেছে। তাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবার কিছুটা ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে।

অন্যদিকে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সরকারের পূর্ণ সমর্থন না থাকায় বাংলাদেশের পথ সহজ নয়। বিশেষ করে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও নতুন সরকারের গঠন এ প্রার্থিতার ভবিষ্যৎ সম্ভাবনায় প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

জাতিসংঘে সাধারণত পাঁচটি আঞ্চলিক গ্রুপ থেকে পর্যায়ক্রমে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে থাকেন। এবার এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের পালা। এই অঞ্চল থেকে বাংলাদেশ, ফিলিস্তিন এবং সাইপ্রাস প্রার্থী হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশ ৫ বছর আগে প্রার্থিতা ঘোষণা করেছে, আর ফিলিস্তিন পরে প্রার্থী হয়েছে। তিনি মনে করেন, দেশের শান্তিরক্ষা কার্যক্রম, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উপস্থিতি এবং প্রার্থীর গ্রহণযোগ্যতা বড় ভূমিকা রাখবে।

উল্লেখ্য, এর আগে ১৯৮৬ সালে জাতিসংঘের ৪১তম সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশ থেকে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী। প্রায় ৪০ বছর পর আবারও বাংলাদেশ এ পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।

এই পোস্টটি পাঠ হয়েছে: ১৫

আরো পড়ুন