বিশ্বের সর্বনিম্ন জন্মহারের দেশ দক্ষিণ কোরিয়ায় আশঙ্কাজনকভাবে শিশুর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে দেশটিতে ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (আইভিএফ) বা উর্বরতা চিকিৎসা ক্লিনিকগুলো ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে আইভিএফ চিকিৎসার হার প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়েছে। শুধুমাত্র রাজধানী সিউলে গত বছর জন্ম নেওয়া প্রতি ছয়টি শিশুর মধ্যে একটি এসেছে আইভিএফ পদ্ধতির মাধ্যমে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ প্রবণতার পেছনে রয়েছে সামাজিক ও মানসিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সারা হার্পার জানান, “বর্তমান প্রজন্ম তাদের জীবন নিজের মতো করে গড়তে চায়। তাই অনেক নারী ডিম্বাণু সংরক্ষণ করছেন এবং অনেক দম্পতি আইভিএফ পদ্ধতিকে বেছে নিচ্ছেন।”
দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার জন্মহার বাড়াতে নানা ধরনের নীতিমালা ও সহায়তা প্রদান করছে। কারণ দেশটি এখন জনসংখ্যা সংকটের মুখে। বর্তমানে প্রতি পাঁচজন নাগরিকের একজনের বয়স ৬৫ বা তার বেশি। জনসংখ্যার অনুপাতে শিশুর সংখ্যা এতটা কম আগে কখনো দেখা যায়নি।
এই প্রেক্ষাপটে আইভিএফ চিকিৎসার প্রসারকে দক্ষিণ কোরিয়ায় জনসংখ্যা সংকট মোকাবিলায় একটি সম্ভাবনাময় উদ্যোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে। দীর্ঘমেয়াদে এটি দেশটির জনসংখ্যা স্থিতিশীল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।