Ridge Bangla

জনগণকে লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির মাশুল দিতে হচ্ছে: বদিউল আলম

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, লেজুড়বৃত্তিক শিক্ষক ও ছাত্রদের রাজনীতিতে ব্যবহার করার মাশুল সাধারণ মানুষকে দিতে হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ছাত্র এবং শিক্ষকদের শিক্ষক হিসেবেই থাকতে হবে; তাদের রাজনৈতিক হাতিয়ার বানানো উচিত নয়।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ: জনমানুষের ভাবনা ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

বদিউল আলম বলেন, লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছা না থাকলে এ অবস্থা থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়। ছাত্র ও শিক্ষকদের রাজনীতিতে ব্যবহার করা মানেই স্বৈরাচার তৈরির পথ সুগম করা। জাকসু নির্বাচনের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, যার কাজ সে না করলে তার ক্ষতি গোটা সমাজকে ভোগ করতে হয়।

তিনি আরও বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার অপরিহার্য। এ নিয়ে জনগণের ঐক্য থাকলেও রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছা ছাড়া কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন সম্ভব নয়।

আলোচনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে। গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, সংস্কার কার্যকর করতে আইনি বাধ্যবাধকতা জরুরি। তিনি সতর্ক করে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের স্বার্থে সীমাবদ্ধ থাকলে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হবে না। একক শক্তি প্রতিষ্ঠা হলে দেশ অনিবার্য সংঘাতের দিকে ধাবিত হতে পারে।

এই পোস্টটি পাঠ হয়েছে:

আরো পড়ুন