Ridge Bangla

ছাত্রদের নেতৃত্বে প্রেসিডেন্ট ভুচিচের পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল সার্বিয়া

সার্বিয়ার রাজধানী বেলগ্রেডে প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার ভুচিচের ১২ বছরের শাসনের অবসান এবং আগাম নির্বাচনের দাবিতে ছাত্রদের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে প্রায় দেড় লাখ মানুষ অংশ নিয়েছে। গত কয়েক মাসের মধ্যে এটি দেশটির সবচেয়ে বড় গণআন্দোলনে রূপ নিয়েছে।

“আমরা নির্বাচন চাই!”—এই স্লোগানে মুখরিত হয়েছে শহরের রাজপথ। বিক্ষোভ চলাকালীন পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষ হয়। ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও স্টান গ্রেনেড ব্যবহার করে। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট ভুচিচ আন্দোলনকারীদের ‘বিদেশি ষড়যন্ত্রকারী’ বলে আখ্যায়িত করে বলেন, “তারা সার্বিয়াকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল, কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে।”

অন্যদিকে আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ভুচিচ সরকার দুর্নীতি, গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ, অপরাধচক্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা এবং স্বেচ্ছাচারিতার মধ্য দিয়ে দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। যদিও সরকার এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

সার্বিয়া দীর্ঘদিন ধরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হওয়ার প্রত্যাশায় থাকলেও, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এখনো পশ্চিমা জোটের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেনি। এতে দেশটির আন্তর্জাতিক অবস্থান আরও বিতর্কিত হয়ে উঠেছে।

এই বিক্ষোভের পেছনে সম্প্রতি নভি সাড রেল স্টেশনের ছাদ ধসে ১৬ জনের মৃত্যুর ঘটনাও একটি বড় অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে। আন্দোলনকারীরা এই দুর্ঘটনার জন্য প্রশাসনের দুর্নীতিকে দায়ী করেছেন এবং বলছেন, “সার্বিয়ার জনগণকে এখন নিজেদের স্বাধীনতা নিজেরাই আদায় করতে হবে।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সার্বিয়ায় এই মুহূর্তে রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে এবং এটি ইউরোপে নতুন একটি সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

আরো পড়ুন