সরকার দেশের চার ধরনের জমির ওপর থেকে ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা স্থায়ীভাবে বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে সংশ্লিষ্ট জমির মালিকদের আর কোনো কর পরিশোধ করতে হবে না, যা দীর্ঘদিনের আর্থিক চাপ থেকে মুক্তি দেবে। ভূমি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নতুন নিয়ম অনুযায়ী নিম্নোক্ত চার শ্রেণির জমির খাজনা আর নেওয়া হবে না:
১. সরকারি বা জাতীয় খালাস জমি – খতিয়ানভুক্ত এই জমির খাজনা সম্পূর্ণরূপে বাতিল।
২. ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জমি – মসজিদ, মন্দির, মঠসহ সকল ধর্মীয় উপাসনালয় খাজনা থেকে মুক্ত থাকবে, তবে এই জমি বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করা যাবে না।
৩. পুনর্বাসন ও আবাসন প্রকল্পের জমি – সরকার বাস্তবায়িত পুনর্বাসন ও আবাসন প্রকল্পের আওতায় থাকা জমির খাজনা স্থায়ীভাবে মওকুফ।
৪. অধিগ্রহণকৃত জমি – সরকারি প্রয়োজনে অধিগ্রহণ করা জমির ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য।
ভূমি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অসচ্ছল জমি মালিক বা প্রান্তিক কৃষকরা চাইলে জেলা প্রশাসকের কাছে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খাজনা মওকুফের আবেদন করতে পারবেন। যাচাই-বাছাই শেষে উপযুক্তদের আবেদন অনুমোদন করা হবে।
নতুন প্রক্রিয়ায় খাজনা প্রদানের পুরো ব্যবস্থা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সম্পন্ন করা যাবে। নাগরিকদের আর ভূমি অফিসে লাইনে দাঁড়াতে হবে না। ভূমি সেবার ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে বিকাশ, নগদ, রকেটসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অনলাইনে খাজনা পরিশোধ সম্ভব।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা আশাবাদী, নতুন ডিজিটাল ব্যবস্থা ও খাজনা বাতিলের ফলে ভূমি অফিসে ঘুষ, হয়রানি ও অনিয়ম কমবে। এতে সাধারণ নাগরিকের জন্য স্বচ্ছতা ও সেবার মান বৃদ্ধি পাবে।