বলিউড অভিনেত্রী সোহা আলী খান, নবাবি পরিবারের সন্তান হয়েও জীবনের শুরুতে বেছে নিয়েছিলেন চাকরিজীবন। ভারতের পতৌদি অঞ্চলের নবাব ও সাবেক ক্রিকেট তারকা মনসুর আলী খান পতৌদি এবং জনপ্রিয় অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুরের কন্যা তিনি। ভাই সাইফ আলী খান বলিউডের প্রথম সারির নায়ক হলেও সোহা একসময় ভিন্ন পথে হাঁটেন।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সোহা জানান, ব্যাংকে চাকরি করতেন তিনি। বছরে আয় হতো ২ লাখ ২০ হাজার রুপি, যার মধ্যে প্রায় পুরো টাকাই চলে যেত বাসাভাড়ায়। এতে জীবনযাপন কঠিন হয়ে উঠলেও নিজের উপার্জনে স্বাধীনভাবে চলতে চেয়েছিলেন তিনি। সোহা বলেন, “আমি স্বাধীনতা চেয়েছিলাম, নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নিতে চেয়েছিলাম। জানতাম প্রয়োজনে মা-বাবার সহায়তা পাব, আর সেই আত্মবিশ্বাসই আমাকে সিনেমায় আসার সাহস দিয়েছে।”
জীবনের মোড় ঘুরে যায় একটি মডেলিং চুক্তির মাধ্যমে। এক বছরের জন্য পান ৫ লাখ রুপি। তখনই তিনি বুঝতে পারেন, দিনের পর দিন অফিসে খেটে যা পান, অভিনয় জগতে একদিনেই তার চেয়ে বেশি উপার্জন সম্ভব। এরপরই বলিউডে তার অভিনয় যাত্রা শুরু হয়। প্রথম সিনেমা ‘দিল মাঙ্গে মোর’-এ অভিনয়ের জন্য পান ১০ লাখ রুপি পারিশ্রমিক।
পরবর্তীতে ‘রং দে বাসন্তী’, ‘আহিস্তা আহিস্তা’, ‘তুম মিলে’-সহ একাধিক জনপ্রিয় ছবিতে অভিনয় করে জায়গা করে নেন দর্শক হৃদয়ে। ২০০৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলা সিনেমা ‘অন্তরমহল’-এও দেখা যায় তাকে।
চাকরিজীবনের চাপ থেকে বলিউডের উজ্জ্বল আলোয় সোহা আলী খানের এই যাত্রা এখন অনেক তরুণীর জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে।