চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের পর রোববার (৩১ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে অভিযান শুরু করেছে যৌথবাহিনী। ক্যাম্পাসের আশপাশে যৌথবাহিনীর অন্তত ১০টি গাড়ি প্রবেশ করতে দেখা গেছে।
সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে শনিবার (৩০ আগস্ট) রাতে এক ছাত্রীকে দারোয়ান কর্তৃক মারধরের অভিযোগকে কেন্দ্র করে। রবিবার সকাল থেকেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং দুপুর ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট সংলগ্ন এলাকায় শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে টানা সংঘর্ষ হয়।
এই সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দেখা না গেলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মুমিন ১৪৪ ধারা জারি করেন। ১৪৪ ধারার আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২নং গেট থেকে পূর্ব-দক্ষিণ সীমান্ত পর্যন্ত এলাকায় আগামী ১ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩টা পর্যন্ত সকল প্রকার সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিং, গণজমায়েত, অস্ত্র বহন ও পাঁচজনের বেশি লোকের সমবেত হওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আহতদের অধিকাংশ দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত হয়েছেন। বিকেল সাড়ে ৩টার পর যৌথবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শুরু করে। পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত থাকলেও যৌথবাহিনী শিক্ষার্থীদের শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য নজরদারি চালাচ্ছে।
প্রশাসন জানিয়েছেন, সংঘর্ষের সঠিক কারণ ও দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।