চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইতিহাসে এবার সর্বোচ্চ রাজস্ব আদায়ের রেকর্ড গড়েছে কর্তৃপক্ষ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিমানবন্দরটির আয় দাঁড়িয়েছে ২৭০ কোটি ৪৯ লাখ টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৩৩ কোটি টাকা বেশি।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে যেখানে আয় হয়েছে ২৭০ কোটি ৪৯ লাখ টাকা, সেখানে ব্যয় হয়েছে মাত্র ৪০ কোটি টাকা। এর আগে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আয় হয়েছিল ২৩৭ কোটি টাকা, ব্যয় ৩৬ কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরে আয় দাঁড়িয়েছিল ২২৫ কোটি টাকায় এবং ব্যয় ছিল ৩৩ কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরে আয় হয়েছিল ৭৯ কোটি টাকা, ব্যয় ছিল ২৭ কোটি টাকা। আর করোনাকালীন ২০২০-২১ অর্থবছরে আয় ছিল মাত্র ৩০ কোটি টাকা, ব্যয় ২৬ কোটি টাকা।
যাত্রী পরিবহনেও এসেছে বড় পরিবর্তন। ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক রুটে যাতায়াত করেছেন ৩ লাখ ৯২ হাজার ৪৫৬ জন যাত্রী। অথচ ২০২৪ সালে এই সংখ্যা ছিল ৯ লাখ ৮২ হাজার ৫৪০ জন, ২০২৩ সালে ৯ লাখ ৭৭ হাজার ৬৭৪ জন এবং ২০২২ সালে ছিল ৮ লাখ ৯৩ হাজার ৬৪ জন। ২০২১ সালে আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রী সংখ্যা ছিল মাত্র ৩ লাখ ২২৬ জন।
অভ্যন্তরীণ রুটেও যাত্রী কমেছে। চলতি অর্থবছরে (২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত) যাতায়াত করেছেন ৬ হাজার ৬৯০ জন যাত্রী। এর আগে ২০২৪ সালে ছিল ১০ হাজার ৫০১ জন, ২০২৩ সালে ১২ হাজার ২৭৬ জন, ২০২২ সালে ১১ হাজার ৫৪২ জন এবং ২০২১ সালে ৪ হাজার ৯৮০ জন যাত্রী।
শাহ আমানত বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী ইব্রাহিম খলিল জানান, “এবার রেকর্ড রাজস্ব আদায় সম্ভব হয়েছে। বকেয়া আদায়সহ বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে এ প্রবৃদ্ধি এসেছে।”
