‘থামা’ নামের নতুন এক রোমান্টিক-কমেডি হলেও থেমে নেই ছবির শুটিং। বরং ভ্যাম্পায়ার ঘরানার এই ছবির কাজ চলছে দারুণ ব্যস্ততায়। উটির ডোডাবেট্টা পিক ও নীলগিরির গভীর জঙ্গলে শেষ দফার শুটিং জমজমাটভাবে সম্পন্ন করেছেন নির্মাতারা। এই পর্যায়েই ধরা পড়েছে ছবির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রোমান্টিক মুহূর্ত, ক্লাইম্যাক্স এবং রহস্যময় ফ্ল্যাশব্যাক দৃশ্য।
পরিচালক আদিত্য সারপোটদারের হাত ধরে ছবিতে মুখ্য চরিত্রে আছেন আয়ুষ্মান খুরানা ও রাশমিকা মন্দানা। আয়ুষ্মানের চরিত্রের নাম ‘অলোক’, যার জীবন আলো-আঁধারির রহস্যে ঘেরা। অন্যদিকে রাশমিকা হচ্ছেন ‘তারকা’, যার তীক্ষ্ণ দৃষ্টি ও প্রথম লুকেই দর্শককে কাঁপিয়ে দিয়েছে।
কাহিনিতে এ দফায় প্রবেশ করছেন বলিউডের বহুমুখী অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি। তিনি হাজির হচ্ছেন ভয়াল ভ্যাম্পায়ার চরিত্রে ‘যক্ষসান’। চরিত্রটির অতীত, উৎপত্তি আর এক বিস্মৃত অভিশাপই গল্পকে ঘুরিয়ে দেবে নতুন দিকে। এছাড়া বর্ষীয়ান অভিনেতা পরেশ রাওয়ালকে দেখা যাবে রহস্যময় চরিত্র ‘রাম গোপাল বাজাজ’-এ, যার চোখেমুখে প্রথম ঝলকেই আতঙ্কের ছাপ ধরা পড়েছে। সোমবার প্রযোজনা সংস্থা যখন চরিত্রগুলোর প্রথম লুক প্রকাশ করে, সঙ্গে সঙ্গেই আলোড়ন ছড়ায় দর্শকমহলে। সিনেমাপ্রেমীরা নানা প্রশ্ন তুলছেন—আসলে কে এই ‘থামা’? কীভাবে জুড়ে গেলেন পৌরাণিক চরিত্র অশ্বত্থামা?
চিত্রনাট্য অনুযায়ী, আয়ুষ্মান খুরানা অভিনীত চরিত্রটি একজন ঐতিহাসিক গবেষক। অতীত অনুসন্ধান করতে গিয়ে তিনি পৌরাণিক কাহিনির ভেতরে প্রবেশ করেন এবং বিজয়নগরের ধ্বংসস্তূপে আবিষ্কার করেন এক অসমাপ্ত প্রেমকাহিনি ও ভয়ঙ্কর অভিশাপ। ‘থামা’-এর গল্প গড়ে উঠেছে দুই টাইমলাইনে—আধুনিক ভারতের বাস্তবতা আর অতীতের পৌরাণিক আবহকে সমান্তরালে সাজানো হয়েছে। ভারতীয় লোককথার ভ্যাম্পায়ার, পৌরাণিক ইতিহাস এবং রোমান্সের আবেগ মিলে এই সিনেমা দর্শকদের জন্য তৈরি করবে জাঁকজমকপূর্ণ অথচ আবেগঘন এক অভিজ্ঞতা।