Ridge Bangla

‘গ্রেপ্তার নয়, আমাকে অপহরণ করা হয়েছিল’, দাবি মেঘনা আলমের

আলোচিত মডেল ও সাবেক ‘মিস আর্থ বাংলাদেশ’ বিজয়ী মেঘনা আলম দাবি করেছেন, তাকে গ্রেপ্তার নয়, বরং তার বাসা থেকে জোরপূর্বক তুলে নেওয়া হয়েছিল, যা আইনের ভাষায় ‘অপহরণ’ বলে গণ্য। রোববার (২২ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালতে হাজির হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই দাবি করেন তিনি।

ধারাবাহিকভাবে চলা প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মামলায় জব্দ করা মোবাইল ফোন, আইপ্যাড ও পাসপোর্ট নিজের জিম্মায় ফেরত চেয়ে আদালতে আবেদন করেছেন মেঘনা। সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেন, “আমি মডেল নই, আমি পলিটিক্যাল লিডারশিপ ট্রেইনার। আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি, বরং বাসা থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে। কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়াই এভাবে কাউকে ধরে নিয়ে যাওয়া অপহরণ হিসেবেই গণ্য হয়।”

মেঘনা আরও বলেন, “যে রাষ্ট্রদূতের নাম এই মামলায় আসছে, তার পক্ষ থেকে আমার বিরুদ্ধে কোনো ফরমাল অভিযোগ নেই। যদি অভিযোগ থাকে, তাহলে আদালতে প্রমাণ দিন। মিথ্যা মামলার মাধ্যমে রাষ্ট্র কিংবা কোনো বিদেশি রাষ্ট্রদূতের সম্মান বাড়ে না।”

মডেল পরিচয়ে তার আপত্তির বিষয়ে মেঘনা বলেন, “মডেল পেশাকে আমি সম্মান করি, কিন্তু নিজেকে এ পরিচয়ে উপস্থাপন করি না। কারণ আমাদের সমাজে এখনো মডেলদের নিয়ে নানা ভুল ধারণা আছে। আমি ২০২০ সালে ‘মিস আর্থ বাংলাদেশ’ নির্বাচিত হয়েছিলাম এবং আন্তর্জাতিকভাবে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করেছি। আমাকে যেভাবে হয়রানি করা হয়েছে, তা শুধু আমার না, বরং দেশের মানহানির শামিল।”

প্রসঙ্গত, গত ৯ এপ্রিল ঢাকার ভাটারা এলাকা থেকে মেঘনা আলমকে আটক করা হয়। পরে বিশেষ ক্ষমতা আইনে তাকে ৩০ দিনের জন্য আটকাদেশ দেওয়া হয়, যা ২৮ এপ্রিল বাতিল করে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন।

এই পোস্টটি পাঠ হয়েছে:

আরো পড়ুন