গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে ‘হানিট্র্যাপ’-এর ঘটনা ধামাচাপা দিতে ভিডিও মুছতে না দেওয়ার কারণে। গত বৃহস্পতিবার রাতে সংঘটিত এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে একটি নারী ও তার সহযোগী ছিনতাই চক্রের হাত থাকার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ড. নাজমুল করিম বলেন, তুহিন ঘটনাস্থলে চলমান হামলার ভিডিও ধারণ করছিলেন। দুর্বৃত্তরা ভিডিও ডিলিট করতে চাইলে তুহিন তা প্রত্যাখ্যান করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। পরে তিনি একটি মুদি দোকানে আশ্রয় নিলে সেখানেও তাকে কোপানো হয়, যা তার মৃত্যুর কারণ হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঘটনাটি শুরু হয় বাদশা নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে ‘হানিট্র্যাপ’-এর নারী গোলাপীর বাগবিতণ্ডা থেকে। এ সময় ছিনতাইকারী চক্র ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাদশাকে কোপাতে শুরু করলে তুহিন সেখানে ভিডিও ধারণ করেন। ভিডিও দেখে সন্ত্রাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে তার ওপর হামলা চালায়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ জানায়, এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত মোট আট জনকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনকে র্যাব-১ গ্রেপ্তার করেছে, আরেকজন কিশোরগঞ্জ থেকে আটক হয়েছেন। গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। গতকাল আদালত তাদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। কিশোরগঞ্জের ইটনা থেকে শহীদুল ইসলাম নামের আরও একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার আসামিরা অপরাধ স্বীকার না করলেও প্রমাণ তাদের বিরুদ্ধে শক্ত প্রমাণ হিসেবে কাজ করবে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থতার জন্য সাংবাদিক সমাজের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।