ইসরায়েলের লাগাতার বিমান হামলায় রক্তে রঞ্জিত হয়ে উঠেছে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ড। এবার একদিনেই ৯৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার (৩০ জুন) গাজার বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলা চালানো হয়। লক্ষ্যবস্তু ছিল একটি ক্যাফে, একটি স্কুল এবং একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র।
উত্তর গাজার উপকূলীয় এলাকায় অবস্থিত ‘আল-বাকা’ নামের একটি ক্যাফেতে একদল মানুষ জন্মদিন উদযাপন করছিলেন। সেখানে আকস্মিকভাবে চালানো বিমান হামলায় বহু নারী-শিশু নিহত হন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ইসমাইল আবু হাতাব নামের এক সাংবাদিক। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, হামলার আগে কোনো ধরনের সতর্কতা বা সরানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
হামাদা আবু জারাদে নামের এক ব্যক্তি বলেন, “আমরা হামলার মাত্র পাঁচ মিনিট আগে একটি নোটিশ পেয়েছিলাম। এত স্বল্প সময়ে কোথায় যাব, কী করব বুঝে উঠতে পারিনি। ৬৩০ দিনেরও বেশি সময় ধরে কোনো সহায়তা পাইনি। আমরা প্রতিদিন মৃত্যুর মুখোমুখি হচ্ছি।”
এছাড়া গাজার দক্ষিণাঞ্চল খান ইউনিসে বিতর্কিত ‘গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)’ পরিচালিত একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে অপেক্ষমাণ মানুষের ওপরও বিমান হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় কমপক্ষে ১৫ জন নিহত ও অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।
আল জাজিরার তথ্য অনুযায়ী, এসব হামলার মূল লক্ষ্য ছিল সাধারণ মানুষ, যারা যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য ও নিরাপত্তার আশায় দিন গুনছিলেন। নতুন করে চালানো এই হামলায় গাজায় মানুষের জীবনযাত্রা আরও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মানবিক সহায়তা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন তারা।