ইসরায়েলি ট্যাংকের হামলায় গাজায় একই পরিবারের ১১ জন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) রাতে গাজা সিটির জেইতুন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা সবাই আবু শাবান পরিবারের সদস্য। তারা নিজেদের বাড়ির ক্ষয়ক্ষতি দেখতে যাচ্ছিলেন। গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত সিভিল ডিফেন্স এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। তারা জানায়, নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও ছিল।
এটি চলমান যুদ্ধবিরতি শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি সেনা কর্তৃক সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলার ঘটনা। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, তারা সন্দেহজনক একটি যানবাহনে গুলি চালায়, যা উত্তর গাজায় সেনাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রবেশ করেছিল। আইডিএফের দাবি, সতর্কতামূলক গুলির পরও যানটি অগ্রসর হওয়ায় তারা গুলি চালাতে বাধ্য হয়।
তবে হামাস জানিয়েছে, বেসামরিক এই পরিবারকে কোনো কারণ ছাড়াই লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। গাজায় অনেক এলাকাজুড়ে ইন্টারনেট সীমিত থাকায় সাধারণ মানুষ জানেন না কোন অঞ্চল এখনো ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, কারণ হলুদ সীমারেখা বাস্তবে চিহ্নিত নয়। অপরদিকে, শনিবার ফিলিস্তিনি দূতাবাস জানিয়েছে, রাফাহ সীমান্ত সোমবার থেকে খোলা হবে, এতে করে মিশরে অবস্থানরত ফিলিস্তিনবাসী গাজায় ফিরতে পারবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে হামাস ইতিমধ্যে ২০ জন জীবিত জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে এবং মৃত ১০ জনের মরদেহ ফেরত দিয়েছে। অন্যদিকে, ইসরায়েলও ২৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দি ও গাজার ১,৭১৮ জন আটক ব্যক্তিকে মুক্তি দিয়েছে। হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর সংঘাত শুরুর পর থেকে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৬৭,৯০০ মানুষ নিহত হয়েছেন।