Ridge Bangla

গাইবান্ধা ও রংপুরে অ্যানথ্রাক্সের প্রাদুর্ভাব, আতঙ্ক জনমনে

গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কিশামত সদর গ্রামে অ্যানথ্রাক্সের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। গ্রামের অনেকের শরীরে চোখ, হাত ও মুখে ফোসকা ও অন্যান্য উপসর্গ দেখা দিয়েছে। মোজাফফর আলীর বাঁ-চোখ মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে খবর প্রচারের পর অনেকেই ঘটনাস্থল দেখতে আসছেন। এ ঘটনায় এক নারীর মৃত্যুর খবর ছড়ালেও স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, তার মৃত্যু অ্যানথ্রাক্সের কারণে হয়নি।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসে ২২ জনের মধ্যে ছয়জন নতুনভাবে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে রুজিনা বেগম রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) তথ্যমতে, রংপুরের বিভিন্ন উপজেলায় ২১টি নমুনা সংগ্রহের মধ্যে ১১টি অ্যানথ্রাক্স পজিটিভ পাওয়া গেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গবাদিপশুকে অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধী টিকা প্রদান এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধি করে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। অ্যানথ্রাক্স সাধারণত প্রাণী থেকে মানুষের ত্বকের ক্ষত, মুখ বা শ্বাসনালী দিয়ে সংক্রমিত হয়। বাংলাদেশের ইতিহাসে অ্যানথ্রাক্স প্রধানত ত্বকের, পাচনতন্ত্রের এবং শ্বাসনালির তিন রূপে দেখা গেছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গরু-ছাগলের মাংস বিক্রি কমেছে, জবাই কম হচ্ছে। সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার দে জানান, আক্রান্ত গবাদিপশুকে টিকা দেওয়া হচ্ছে এবং জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য মাঠ পর্যায়ে টিম কাজ করছে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, আক্রান্তরা প্রাথমিকভাবে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করলে ১৫-২০ দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন।

এই পোস্টটি পাঠ হয়েছে: ১৮

আরো পড়ুন