সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কার্যক্রমে এসেছে দৃশ্যমান গতি। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর গত ৫ আগস্ট থেকে শুরু করে চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত আট মাসে সংস্থাটি বিভিন্ন দুর্নীতি, অনিয়ম, অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে ৯২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
দুদকের জনসংযোগ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এসব মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, অনুসন্ধান, মামলা ও অভিযোগপত্রসহ এ সময় দুদক আইনানুগ পদক্ষেপ নিয়েছে দুই হাজারেরও বেশি ব্যক্তির বিরুদ্ধে—যা গত কয়েক বছরের তুলনায় রেকর্ড পরিমাণ।
গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই তিনি সংস্থার নীতিগত দিক পুনর্গঠন শুরু করেন। তার নেতৃত্বে দুদক প্রথমবারের মতো সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দেশের শীর্ষ রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করে।
পরবর্তীতে এসব অনুসন্ধানের ভিত্তিতে একাধিক মামলায় অভিযোগপত্রও জমা দেওয়া হয়েছে।
দুদকের একজন কর্মকর্তা জানান, “গণমানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী আমরা এখন আরও নিরপেক্ষ ও কার্যকরভাবে কাজ করছি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”