খাগড়াছড়িতে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে জুম্ম ছাত্র-জনতা। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ভোর থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচি চলবে সন্ধ্যা পর্যন্ত।
অবরোধ শুরুর পর থেকেই জেলার বিভিন্ন স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ ও পিকেটিং করে আন্দোলনকারীরা। ভোরে খাগড়াছড়ি শহরের চেঙ্গী ব্রিজ, স্টেডিয়াম এলাকা, গুইমারার বাইল্যাছড়ি যৌথ খামার এলাকায় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধকারীরা অবস্থান নেন। অবরোধের কারণে খাগড়াছড়ি থেকে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। মাটিরাঙ্গায় শনিবার সাপ্তাহিক হাটের দিন হলেও ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতি ছিল নগণ্য। জেলার অভ্যন্তরীণ সড়কেও যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর ফলে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের উদ্দেশে ছেড়ে আসা অনেক নৈশকোচ বিভিন্ন স্থানে আটকা পড়েছে।
তবে শহর ও উপজেলা সদরগুলিতে ইজিবাইক ও মোটরসাইকেলসহ ছোটখাটো যান চলাচল করতে দেখা গেছে। এদিকে অবরোধ চলাকালে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন পুলিশের কর্মকর্তারা। খাগড়াছড়ি সদর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার কাজী ওয়াজেদ আলী বলেন, জেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। নিরাপত্তা পাহারায় আটকে থাকা কয়েকটি নৈশকোচও শহরে প্রবেশ করেছে।
অবরোধ কর্মসূচির কারণে পাহাড়ি জনজীবন পুরোপুরি স্থবির হয়ে পড়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, খাগড়াছড়িতে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের প্রতিবাদ ও দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে দ্রুত আইনের আওতায় না আনা হলে এ ধরনের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।