ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে রাশিয়ার ভয়াবহ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে ১৮ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে চার শিশু রয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ। হামলায় মোট ৫৯৮টি স্ট্রাইক ড্রোন এবং ৩১টি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার মধ্যরাত ও ভোরে কিয়েভের বিভিন্ন এলাকায় শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে। রাশিয়ার হামলা শহরের ১০টি জেলায় ৩৩টি স্থানে আঘাত হানে এবং বেশ কিছু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন মিশনের সদর দপ্তর ও ব্রিটিশ কাউন্সিলও হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আহতের সংখ্যা অন্তত ৪৮ এবং তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এক্স-তে লিখেছেন, “ডজন ডজন মানুষ আহত, পরিস্থিতি গুরুতর। ডাক্তাররা জীবন বাঁচাতে লড়াই করছেন।”
ইউক্রেনীয় বিমানবাহিনী জানিয়েছে, মস্কো রাতের আধারে দেশজুড়ে এই ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। যদিও অনেক হামলা প্রতিহত করা হয়েছে, তবে বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে পাঠানো বেশ কিছু বিস্ফোরকবাহী ড্রোন আটকানো যায়নি।
এই হামলাকে মস্কোর শান্তি আলোচনার প্রত্যাখ্যানের ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন জেলেনস্কি এবং তার মিত্ররা। এর আগে এই মাসের শুরুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধান নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে আলাস্কায় বৈঠক করেছিলেন। ওই বৈঠকের পর কিয়েভে হামলার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ঘটনা শহরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় হামলার একটি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।