জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৭৬ সালের এদিনে তিনি তৎকালীন পিজি হাসপাতালে (বর্তমান বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) ইন্তেকাল করেন। পরে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে সমাহিত করা হয়। ১৮৯৯ সালের ২৪ মে (১১ জ্যৈষ্ঠ ১৩০৬ বঙ্গাব্দ) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন নজরুল। শৈশবে তিনি ‘দুখু মিয়া’ নামে পরিচিত ছিলেন। তার পিতা ছিলেন কাজী ফকির আহমেদ এবং মাতা জাহেদা খাতুন।
বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে বিদ্রোহী কবি নামে খ্যাত হলেও নজরুলের সৃষ্টির পরিধি বহুমাত্রিক। কবিতা, গান, উপন্যাস, গল্প, নাটক, প্রবন্ধ, সাংবাদিকতা ও অভিনয় সব ক্ষেত্রেই রেখেছেন স্বতন্ত্র স্বাক্ষর। প্রেম, বিদ্রোহ, সাম্য আর মানবতার বাণী তিনি ছড়িয়ে গেছেন তাঁর লেখনী ও সুরে। মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁর গান ও কবিতা জাতিকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল।
বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর ১৯৭২ সালের ২৪ মে কবিকে জাতীয় কবির মর্যাদা দিয়ে ঢাকায় আনা হয়। ১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সম্মানসূচক ডি-লিট ডিগ্রি দেয় এবং একই বছর একুশে পদকে ভূষিত করা হয়।
মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো হবে। বাংলা একাডেমি বিকেল ৪টায় সেমিনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। পাশাপাশি দেশব্যাপী নানা সংগঠন আলোচনা, আবৃত্তি ও নজরুলগীতি পরিবেশনের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করবে।