পাকিস্তানের করাচিতে পাঁচতলা একটি ভবন ধসে এখন পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে উদ্ধার অভিযান। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো ছয় থেকে সাতজন আটকে থাকার আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (৫ জুলাই) জিও টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ধ্বংসাবশেষের নিচ থেকে জীবিতদের উদ্ধারে নিরলস চেষ্টা চালাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। ভবনটির ভগ্নস্তূপ থেকে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকজনকে জীবিত এবং মৃত উদ্ধার করা হয়েছে।
করাচির মেয়র মুর্তজা ওয়াহাব জানিয়েছেন, “শহরে চার শতাধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রয়েছে। এসব ভবনে বসবাসকারীদের সরিয়ে নিতে বলা হলেও অনেকে গুরুত্ব দেয় না। আজকের দুর্ঘটনা সরকারের সতর্কবার্তার গুরুত্ব প্রমাণ করল।” দুর্ঘটনার পর পাশে থাকা সাততলা ও দোতলা দুটি ভবনের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও রেঞ্জার্স স্থানীয়দের ঘটনাস্থলে ভিড় না করতে অনুরোধ করেছে। তবে নিখোঁজদের স্বজনেরা ঘটনাস্থলে ভিড় করছেন এবং উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় অপেক্ষা করছেন। অনেকে উদ্ধারকর্মীদের সহায়তা করতে গিয়ে অজান্তেই উদ্ধার কাজে বিঘ্ন ঘটাচ্ছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে রেঞ্জার্স ও সিটি ওয়ার্ডেন।
দক্ষিণ করাচির ডেপুটি কমিশনার জানান, ধসে পড়া ভবনটিতে ছয়টি পরিবার বাস করত। এক বাসিন্দা বলেন, “আমার খালার পরিবার ভবনের চতুর্থ তলায় থাকতেন। আমরা এখনো জানি না, কতজন আটকে আছেন। কিছু উদ্ধার হয়েছে, কিছু মারা গেছেন। আমার খালার অবস্থা আশঙ্কাজনক।”
ভবন ধসের কারণ এখনো নিশ্চিতভাবে জানা না গেলেও ধারণা করা হচ্ছে, এটি অতিরিক্ত বৃষ্টিতে দুর্বল ভিত্তির কারণে ভেঙে পড়েছে। কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যেই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো তালিকাভুক্ত করে পর্যবেক্ষণ জোরদারের নির্দেশ দিয়েছে।