যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে রুয়ান্ডা ও গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র (ডিআরসি) একটি শান্তি চুক্তি সই করতে যাচ্ছে, যার উদ্দেশ্য পূর্ব কঙ্গোর দীর্ঘমেয়াদী সংঘাতের অবসান ঘটানো। যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের মধ্যস্থতায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
চুক্তিটি রুয়ান্ডা গণহত্যার পরবর্তী সময়ে শুরু হওয়া সহিংসতার প্রেক্ষাপটে তৈরি। চলতি বছর এম২৩ বিদ্রোহী গোষ্ঠী কঙ্গোর সেনাবাহিনীর সঙ্গে ভয়াবহ সংঘাতে জড়ায় এবং বিপুল এলাকা দখল করে। জাতিসংঘ জানায়, এতে হাজার হাজার মানুষ নিহত এবং লক্ষাধিক বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
এম২৩ গোষ্ঠী তুতসি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করার দাবি করলেও ডিআরসি ও জাতিসংঘ অভিযোগ করেছে, রুয়ান্ডা এই গোষ্ঠীকে সহায়তা করছে এবং কঙ্গোর মূল্যবান খনিজ সম্পদ লুট করছে। রুয়ান্ডা অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
চুক্তির খসড়ায় উভয় দেশ একে অপরের ভূখণ্ডের সার্বভৌমত্ব মেনে নেওয়া এবং সব অরাষ্ট্রীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীর অস্ত্র পরিত্যাগ নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে নোবেল বিজয়ী কঙ্গোলিজ চিকিৎসক ডেনিস মুকওয়েগে এই চুক্তিকে ‘অস্বচ্ছ’ আখ্যা দিয়ে সমালোচনা করেছেন। তার মতে, এতে বিচারহীনতা ও আগ্রাসনকে পুরস্কৃত করা হচ্ছে।
এই শান্তি চুক্তি বাস্তবে কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।