১৯ মার্চ ইস্তাম্বুল শহরের মেয়র একরেম ইমামোগলুকে গ্রেফতারের পর থেকে তুরস্কে শুরু হয়েছে ব্যাপক আন্দোলন। গ্রেফতারের পর থেকে ইমামোগলুর দল এবং দেশটির প্রধান বিরোধী দল পিপলস রিপাবলিকান পার্টি (সিএইচপি) ধারাবাহিকভাবে প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করছে। এবার প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে চাপে ফেলতে পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছে দলটি।
রয়টার্সের বরাতে জানা যায়, বুধবার (২ এপ্রিল) একদিনের এই বয়কট কর্মসূচিকে সমর্থন জানিয়ে তুরস্কের বড় শহরগুলোর অনেক দোকানপাট বন্ধ ছিল। তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী ওমর বোলাত এই বয়কট কর্মসূচিকে দেশটির অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেন, যারা এই বয়কট সমর্থন করছেন, তারা মূলত সরকারের ভিত্তি দুর্বল করার চেষ্টা করছেন।
বুধবার রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম টিআরটি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমাদের নাগরিকদের প্রতি আমার আহ্বান— যদি আজ, আগামীকাল বা ভবিষ্যতে আপনার কেনাকাটার পরিকল্পনা থাকে, তাহলে আজই কেনাকাটা করে ব্যবসা সচল রাখুন। এভাবেই আমরা আমাদের অর্থনীতি সুরক্ষিত রাখতে পারি।”
সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী এবং সরকারঘেঁষা তারকারা এই বয়কট বিরোধী প্রচারে সোচ্চার হয়েছেন। অন্যদিকে সিএইচপি-র চেয়ারম্যান ওজগুর ওজেল এই বিক্ষোভ আন্দোলনকে ‘দশকের সবচেয়ে বড় গণজাগরণ’ বলে উল্লেখ করে কর্মীদের উৎসাহিত করেছেন।
উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ১৯ মার্চ পরবর্তী রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সম্ভাব্য শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী একরেম ইমামোগলুকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিজের ক্ষমতায় টিকে থাকার পথ সুগম করতেই তিনি এই পদক্ষেপ নিয়েছেন।
ইমামোগলুর গ্রেফতারের পর দেশটির বড় বড় শহরের রাস্তায় ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সরকার কঠোরভাবে দমন-পীড়নের পথে হেঁটে ইতোমধ্যে প্রায় দেড় হাজার বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে। সাংবাদিকদের হেনস্তার অভিযোগও উঠেছে। প্রশাসন বিভিন্ন এলাকায় গণজমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তবু আন্দোলন থামানো সম্ভব হয়নি।