হলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা আর্নল্ড শোয়ার্জেনেগার যে শুধু অ্যাকশন নয়, কমেডিতেও সমানভাবে সফল—তার প্রমাণ ১৯৮৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সুপারহিট সিনেমা টুইনস। সম্প্রতি নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাওয়া তার সিরিজ ফুবার-এর দ্বিতীয় কিস্তির প্রচারে গিয়ে ওয়াচ হোয়াট হ্যাপেনস লাইভ অনুষ্ঠানে অংশ নেন শোয়ার্জেনেগার। সেখানেই ক্যারিয়ারের সবচেয়ে লাভজনক সিনেমা সংক্রান্ত এক প্রশ্নে দর্শকদের চমকে দেন তিনি।
শোয়ার্জেনেগার বলেন, “টুইনস আমার জীবনের সবচেয়ে লাভজনক সিনেমা। যদিও টার্মিনেটরসহ অন্য ছবিতে বড় অঙ্কের পারিশ্রমিক পেয়েছি, টুইনস-এ আমি কোনো পারিশ্রমিক নিইনি। ছবির লাভের অংশীদার ছিলাম, সেখান থেকেই বিশাল অর্থ পেয়েছি।”
অ্যান্ডি কোহেন যখন জানতে চান, “২০ মিলিয়নের বেশি আয় করেছিলেন?” উত্তরে শোয়ার্জেনেগার বলেন, “এরও বেশি।” আর যখন কোহেন জিজ্ঞেস করেন, “৪০ মিলিয়নের বেশি?” তখন অকপট উত্তর, “হ্যাঁ, আরও বেশি!”
টুইনস ছবিতে শোয়ার্জেনেগার এবং ড্যানি ডিভিটো অভিনয় করেন যমজ ভাইয়ের চরিত্রে। ছবিটি বিশ্বব্যাপী প্রেক্ষাগৃহ থেকে আয় করে প্রায় ২১৬ মিলিয়ন ডলার। হোম ভিডিও, টেলিভিশন স্বত্বসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকেও আসে বিপুল রাজস্ব। এরফলে শোয়ার্জেনেগারের ক্যারিয়ারে এটি রেকর্ড আয়ের উৎসে পরিণত হয়।
মজার ব্যাপার হলো, এত সফলতার পরও টুইনস ছবির কোনো সিকুয়েল তৈরি হয়নি। যদিও পরিকল্পনা ছিল একটি সিকুয়েল নির্মাণের, যেখানে এডি মার্ফি নতুন ভাই হিসেবে যুক্ত হতেন। কিন্তু পরিচালক আইভান রাইটম্যানের মৃত্যুর পর সেই পরিকল্পনা আর এগোয়নি।
শোয়ার্জেনেগারের ভাষায়, “অভিনেতা হিসেবে মাঝে মাঝে স্মার্ট চুক্তিই সবচেয়ে বড় রিটার্ন এনে দেয়। টুইনস ছিল তেমনই এক সিদ্ধান্ত।”
