নোয়াখালীর চাটখিল ও সোনাইমুড়ী থানায় গত বছর ৫ আগস্ট ও তার পরবর্তী সময়ে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বিজয়ের প্রেক্ষাপটে সারাদেশের মতো নোয়াখালীতেও ভয়াবহ লুটের ঘটনায় থানা থেকে হারিয়ে যাওয়া ২২টি আগ্নেয়াস্ত্র এক বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো উদ্ধার হয়নি।
এ পরিস্থিতিতে জুলাই-আগস্টে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে পুরস্কারের ঘোষণা করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তার ঘোষণায় বলা হয়েছে, একটি এলএমজির তথ্য দিলে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত পুরস্কার দেওয়া হবে।
পুলিশ সূত্র জানায়, সোনাইমুড়ী থানা থেকে লুট হওয়া ৫৮টি অস্ত্রের মধ্যে ৪৫টি উদ্ধার করা গেলেও এখনও ১৩টি অস্ত্রের খোঁজ মেলেনি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ৪টি চায়না রাইফেল, একটি এসএমজি, ৩টি পিস্তল ও ৫টি শর্টগান। একইভাবে চাটখিল থানার লুট হওয়া ৫৮টির মধ্যে উদ্ধার হয়েছে ৫১টি। বাকি ৭টির মধ্যে আছে ৩টি চায়না রাইফেল, একটি পিস্তল ও ৩টি শর্টগান।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এসব অস্ত্রের একটি অংশ ইতোমধ্যে দুষ্কৃতকারীরা বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি ও ডাকাতির মতো অপরাধে ব্যবহার করছে। তাই দ্রুত উদ্ধার অভিযান জোরদার করার দাবি তাদের।
নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মোহাম্মদ ইব্রাহীম বলেন, “লুট হওয়া অস্ত্রগুলোর মধ্যে মোট ৭টি চায়না রাইফেল, একটি এসএমজি, ৪টি পিস্তল, ৮টি শর্টগান ও ২টি গ্যাসগান এখনো নিখোঁজ। এগুলো উদ্ধারে নিয়মিত অভিযান চলছে। জনগণের নিরাপত্তাই আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।”