এক-এগারোর সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে ‘অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ আখ্যা দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সে সময়কার সরকার রাজনৈতিক প্রক্রিয়া ভেঙে দিয়ে দেশকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিতে চেয়েছিল।
তারেক রহমান বলেন, “এক বাক্যে বললে, এক-এগারোর সরকার ছিল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও অসৎ উদ্দেশ্যে পরিচালিত। তারা বিরাজনীতিকরণের চেষ্টা করেছে। অথচ ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলেও গণতান্ত্রিক ভিত্তি গড়ে উঠছিল।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, পরবর্তী সময়ে ‘ইন দ্য নেম অব ডেমোক্রেসি’ নামে এরই আরেক রূপ দেখা গেছে।
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সবার আগে বাংলাদেশ। দেশের মানুষের স্বার্থই আমার অগ্রাধিকার। আমি আমার পানির ন্যায্য হিস্যা চাই এবং সীমান্তে আর কোনো ফেলানীর ঘটনা দেখতে চাই না।” দিল্লিতে শেখ হাসিনার অবস্থান প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, “তারা যদি স্বৈরাচারকে আশ্রয় দেয়, তবে বাংলাদেশের মানুষই তাদের সঙ্গে শীতল সম্পর্ক রাখবে।”
সংস্কার প্রসঙ্গে বিএনপির অবস্থান ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “রাষ্ট্র মেরামতে সংস্কার অপরিহার্য। আমরা আগেই বলেছি, একজন ব্যক্তি দু’বারের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না। এখন অনেকে সংস্কারের কথা বললেও বিএনপিই প্রথম এ বিষয়ে সোচ্চার হয়েছিল।”
সংবাদপত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে তিনি দাবি করেন, বিএনপি সরকারের সময়ে কোনো সাংবাদিককে গুম বা নির্যাতন করা হয়নি। ভবিষ্যতেও হবে না। তিনি বলেন, “কালো আইনগুলো বাতিল করতে আমরা সাংবাদিক ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করব। তবে সংবাদপত্রে অপপ্রচার ঠেকাতেও সবার সচেতন থাকা জরুরি।”