Ridge Bangla

উয়েফার কাছে ফিলিস্তিনি ফুটবলার ওবাইদের মৃত্যুর কারণ জানতে চান সালাহ

গাজায় খাদ্য সহায়তার জন্য অপেক্ষারত অবস্থায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলায় নিহত হয়েছেন ফিলিস্তিনি তারকা ফুটবলার সুলাইমান আল-ওবাইদ, যিনি ‘ফিলিস্তিনি পেলে’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। সুলাইমান আল-ওবাইদের মৃত্যুতে উয়েফার দেওয়া শোকবার্তার তীব্র সমালোচনা করেছেন লিভারপুলের মিশরীয় তারকা মোহাম্মদ সালাহ।

৪১ বছর বয়সী এই কিংবদন্তি ফরোয়ার্ডের মৃত্যুতে শ্রদ্ধা জানিয়েছে ইউরোপীয় ফুটবল সংস্থা (উয়েফা)। তবে তারা মৃত্যুর কারণ, স্থান বা পরিস্থিতি উল্লেখ না করায় এবং ইসরায়েলি বাহিনীর ভূমিকার প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সালাহ।

সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে উয়েফার পোস্টে ওবাইদের ছবি দিয়ে তাকে মেধাবী ফুটবলার হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়, “অন্ধকার সময়েও তিনি অগণিত শিশুকে আশার আলো দেখিয়েছেন।” কিন্তু ইসরায়েলি হামলার প্রসঙ্গ না থাকায় সালাহ তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান। পোস্টে ওবাইদের মৃত্যুর কারণ উল্লেখ না করায় ৩৩ বছর বয়সি সালাহ পাল্টা জবাবে লিখেছেন, “আপনারা কি বলতে পারেন, তিনি কীভাবে, কোথায় এবং কেন মারা গেলেন?”

বিবিসি এ বিষয়ে উয়েফার মন্তব্য জানতে যোগাযোগ করলেও কোনো প্রতিক্রিয়া পায়নি।

সুলাইমান আল-ওবাইদ ফিলিস্তিনি ফুটবলের উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন। গাজায় ১৯৮৪ সালের ২৪ মার্চ জন্ম নেওয়া ওবাইদ পেশাদার ফুটবল জীবন শুরু করেন খাদামাত আল-শাতি ক্লাবের হয়ে। পরে খেলেছেন পশ্চিম তীরের মারকাজ শাবাব আল-আমরি ও গাজা স্পোর্ট ক্লাবের হয়ে। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনি করেছেন ১০০-র বেশি গোল।

মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাসবিদ ও ডন পত্রিকার গবেষণা সহকারী আসাল রাদ এক্সে লিখেছেন, “উয়েফার পোস্ট পড়ে মনে হয়, সুলাইমান স্বাভাবিক কারণে মারা গেছেন। কিন্তু সত্য হলো, তাকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।” ফিলিস্তিনি ফুটবল ফেডারেশনের হিসাব অনুযায়ী, চলমান সংঘাতে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় ফুটবল সম্প্রদায়ের অন্তত ৩২১ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

৩৩ বছর বয়সী মোহাম্মদ সালাহ ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম প্রভাবশালী খেলোয়াড়। তিনি আগেও গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানো নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন এবং চলমান সংঘাতে সৃষ্ট মানবিক সংকট নিয়ে নিয়মিত উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছেন। এছাড়া তিনি বিশ্ব নেতাদের নিরীহ প্রাণহানি রোধে একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘ এই মাসের শুরুর দিকে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল-সমর্থিত নতুন সংস্থা গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র স্থাপন করার পর গত মে মাসের শেষ থেকে খাবারের সন্ধানে ১ হাজার ৩৭৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

আরো পড়ুন