রাজধানীর উত্তরায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ জনে। সর্বশেষ জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ৯ বছর বয়সী বাপ্পি মারা গেলে এই সংখ্যা আরও বেড়ে যায়।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) ভোর ৫টার দিকে হাসপাতালের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান গণমাধ্যমকে জানান, বাপ্পির শরীরের প্রায় ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল এবং দীর্ঘসময় আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকার পর সে মৃত্যুবরণ করে।
এর আগের রাতেই আরও চার শিক্ষার্থী—এরিকসন, আরিয়ান, নাজিয়া ও সায়ান ইউসুফ—পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। তাদের দেহের ৮৫ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত অংশ দগ্ধ ছিল।
প্রথমদিকেই প্রাণ হারিয়েছিলেন অষ্টম শ্রেণির তানভীর আহমেদ, সপ্তম শ্রেণির আফনান ফাইয়াজ, ষষ্ঠ শ্রেণির আব্দুল্লাহ সামিন এবং স্কুলের প্রাইমারি শাখার হেড কো-অর্ডিনেটর মাহেরীন চৌধুরী।
এছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র জুনায়েদ। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট মিলিয়ে অন্তত ৪১ জন গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন।
এই ভয়াবহ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে চিকিৎসাধীন অবস্থায়। যদিও আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) সর্বশেষ নিশ্চিত করেছে ২০ জনের মৃত্যুর কথা, তবে হাসপাতাল ও পারিবারিক সূত্র অনুযায়ী মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ জনে।